যশোরে ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে লকডাউনের প্রথম দিন পার হয়েছে। করোনা মহামারি রোধে শহরের সবগুলো প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দেয়া হয়। দুপুর ১২টার পর আরো কড়াকড়ি করে বন্ধ করে দেয়া হয় সব যানবাহন চলাচল। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে বাধ্য হয়েছে পথচারীরা। শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় কেবলমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ছাড়া সবকিছু চলাচলে বাধা দেয়া হয়েছে।
এদিকে মানুষের চলাচল সীমিত করতে এখানে দঁড়ি টাঙিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দোকানপাট, কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকলেও শহরে যানবাহন চলাচল ছিল একেবারেই কম। হাতেগোনা কিছু রিকশা-ভ্যান পুলিশের চোখ এড়িয়ে শহরের বাইপাস সড়কে চলাচল করে। ১২টার পর সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। অধিকাংশ বাজারঘাটও বন্ধ ছিল।
এদিকে, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির একসভা বুধবার দুপুরে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
উপস্থিত ছিলেন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের এমপি শাহীন চাকলাদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, বর্তমানে কোন কোন ডাক্তার করোনা চিকিৎসায় গাফিলতি করছেন। তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, এ দুঃসময়ে যেসব ডাক্তার যথাযথ ভূমিকা রাখবেন না সুসময়ে যশোরে তাদের প্রয়োজন নেই। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, গণবিজ্ঞপ্তির শর্তগুলো কড়াকড়িভাবে প্রতিপালন করা হবে। একইসাথে করোনা রোগী বৃদ্ধি সাপেক্ষে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলো স্বল্প সময়ের নোটিশে ব্যবহার করতে পারবে স্বাস্থ্যবিভাগ। কোনোভাবেই যাতে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম