ইয়াসের প্রভাবে দ্বিতীয় দফায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন। ইউনিয়নের ৫ হাজার পরিবারের ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এখনো নিয়মিত জোয়ার-ভাট চলছে ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে খাওয়া দাওয়া তো দুরের কথা, মরা মানুষের শেষ বিদায় দেওয়ার মতো পরিবেশ নেই এলাকায়। মৃতদের দাফন করতে হচ্ছে বিকল্পভাবে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রতাবনগরে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনের মৃত্যু হয়। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে অভিনব পন্থায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম গাজীর ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৪) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে পাঁচটায় তার কর্মস্থল কলারোয়ার বাসায় স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। তার মরদেহ আনা হয় জান্মভূমি প্রতাপনগরে। কিন্তু প্রতাপনগরসহ আশে পাশের এলাকা পানির নিচে ডুবে আছে। আছর নামাজের পর আল আমিন মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ গাজীর বাড়ির সামনের রাস্তায় জানাজা নামাজ শেষে বিকল্পভাবে পারিবারিক কবরস্থানে কবর না খুঁড়ে তাকে দাফন করা হয়। জোয়ারের পানি কমে গেলে ইট বিছিয়ে তার উপরে পলিথিন দিয়ে থরে থরে ইট সাজিয়ে মাটির পরিবর্তে কংক্রিটের কবর সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে প্রতাপনগর গ্রামের ডাঃ আক্তার হোসেনের পিতা আরশাদ আলী সানা (৭৮) বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজস্ব বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। শুক্রবার (১৮ জুন) জুম্মার নামাজের পর জানাজা শেষে তাকেও বিকল্পভাবে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
খুলনা গেজেট/এমএম