রানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। শুক্রবার (১৮ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একটানা চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। পরদিন শনিবার দুপুরের আগেই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ মোট চারটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই সকালে ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা রয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খমেনি। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ এই নেতার দফতর থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তিনি ভোট দেবেন।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ মোট চারটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। সারাদেশে সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। প্রয়োজনে ভোটদানের সময় রাত ২টা পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। পরের দিন শনিবার দুপুরের আগেই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি একইদিনে গ্রাম ও শহর পরিষদের মূল নির্বাচন এবং পার্লামেন্ট ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ভোটগ্রহণের আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় শেষ হয়।
এটা ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন মোট ৫২৯ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন ৭ জন। অবশ্য শেষ মুহূর্তে তিন জন ‘সরে দাঁড়ানোয়’ এখন প্রার্থী রয়েছেন মোট চারজন। সংস্কারপন্থি ও মধ্যপন্থি প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একেবারে শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ওই তিন প্রার্থী।
এদিকে নির্বাচনে ইরানি নাগরিকদের ব্যাপক হারে ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। বুধবার তিনি বলেন, শত্রুরা নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়ে ইরানকে সন্ত্রাসবাদের লালনভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু ইরানি জনগণ সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।
সেসময় তিনি আরও বলেন, সকল ক্ষেত্রে ইরানের ভবিষ্যত শুক্রবারের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের ওপর নির্ভর করছে। নিজেদের হাতে দেশের ভাগ্য গঠন করার সুযোগ পাচ্ছে দেশের জনগণ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানে বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ৯৩ লাখের বেশি। তাদের মধ্যে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার নারী ও ২ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ভোটার পুরুষ।
এছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ইরানের ১৩ লাখ তরুণ ভোটার। তাই নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন নারী ও নতুন ভোটাররা।