২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের উর্ধ্বমূখী হয়েছে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেখচিত্র। মঙ্গলবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৬৮১ জন।
আগের দিন সোমবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৫৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৬৭১ জন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬২ হাজার ৮১০ জন এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ১০ জন।
মঙ্গলবার করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম এই দেশটিতে এই দিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৯৯২ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৭৬০ জন।
এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ২২৬ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৪৭০ জন।
করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের হিসেবে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। মঙ্গলবার আর্জেন্টিনায় নতুন আক্রান্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ২৬০ জন এবং এ রোগে দেশটিতে এদিন মারা গেছেন ৫৮৬ জন।
আর্জেন্টিনার তুলনায় আক্রান্ত কিছুটা কম হলেও মৃত্যু বেশি হয়েছে কলম্বিয়ায়। মঙ্গলবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪৫২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৯৯ জন করোনা রোগীর।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের আরও যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের উচ্চহার দেখা গেছে সেগুলো হলো- রাশিয়া (আক্রান্ত ১৪ হাজার ১৮১, মৃত্যু ৩৭৯), যুক্তরাষ্ট্র (আক্রান্ত ১২ হাজার ৪১, মৃত্যু ৩৪১), ইরান (আক্রান্ত ১০ হাজার ২১৬, মৃ্ত্যু ১৩৪), দক্ষিন আফ্রিকা (আক্রান্ত ৮ হাজার ৪৩৬, মৃত্যু ২০৮), ইন্দোনেশিয়া (আক্রান্ত ৮ হাজার ১১৬, মৃত্যু ১৬৪), যুক্তরাজ্য (আক্রান্ত ৭ হাজার ৬৭৩, মৃত্যু ১০) ও তুরস্ক (আক্রান্ত ৫ হাজর ৯৫৫, মৃত্যু ৮৪)
বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ১৭ লাখ ৩২ হাজার ১৫৪ জন। এদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করে চলছেন ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪২৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৩ হাজার ৭৩০ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৭১ জন এব এ রোগে মারা গেছেন মোট ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৪ জন।
তবে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও কম নয়। বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৬ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৮৩৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে সাধারণভাবে এই ভাইরাসটি পরিচিতি পায় নতুন বা নভেল করোনাভাইরাস নামে। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছে উহানেই। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তখন জানানো হয়েছিল, ‘অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি ঘোষণা ডব্লিউএইচও।
খুলনা গেজেট/ টি আই