পুরো ম্যাচজুড়ে তাল, লয়, ছন্দ, সবই ঠিক রেখেছিল স্পেন। কেবল পারছিল না গোল করতে। কখনো আলভারো মোরাতা সহজ সুযোগ মিস করছিলেন, কখনো সুইডেন গোলরক্ষক রবিন ওলসন হয়ে উঠছিলেন অতিমানবীয়।
হুটহাট উঠে এসে স্পেনের ডিফেন্সে ভয় ধরাচ্ছিল সুইডিশরাও। তবে দেখা মিলছিল না কেবল কাঙ্ক্ষিত গোলের। শেষ পর্যন্ত আর সেটা হয়নিও। গোলশূন্য ড্রতেই এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে স্পেন ও সুইডেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে ইউরোর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ছোট ছোট পাসে সুন্দর ফুটবলে প্রতিপক্ষের ওপর শুরু থেকেই চাপ বাড়াতে থাকে স্পেন। দ্রুত গোল আদায়ের চেষ্টা ছিল তাদের। কিন্তু স্লো বিল্ড আপের কারণে সুইডেন জমাট করে ফেলছিল তাদের রক্ষণ।
সেটা ভাঙতে পারছিল না লুইস এনরিকে শিষ্যরা। খেলাটাকে যতক্ষণে নিচে থেকে গুছিয়ে আনছিল তারা। সুইডিশ ডিফেন্স ততক্ষণে হয়ে পড়ছিল শক্তপোক্ত। তবুও দারুণ সব সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। ১৪ মিনিটে প্রথম দারুণভাবে অন টার্গেটে বল রাখে স্পেন। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া বলে দানি আলমো হেড করেন, কিন্তু গোলরক্ষক ঠেকান দারুণভাবে।
৩৮ তম মিনিটে সবচেয়ে সহজ সুযোগটা পেয়েছিলেন আলভারো মোরাতা। জর্ডি আলবার বাড়ানো বলে গোলরক্ষক ছাড়া কেউ ছিল না তার সামনে। কিন্তু মোরাতা বলটা রাখতে পারেননি অন টার্গেটেও! এরপর থেকেই রক্ষণে ব্যস্ত থাকা সুইডেন কিছুটা পজিটিভ ফুটবল খেলতে থাকে।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য শেষ হওয়ার পর ৬০ মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল সুইডেন। ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মার্কাস বাকে। পা টা কেবল ছুঁয়াতে পারলেই হতো। কিন্তু সেটিও পারেননি তিনি। বল মারেন গোলপোস্টের বাইরে।
খানিক বাদেই দুর্দান্ত খেলতে থাকা ইসাককে তুলে নেন সুইডেন কোচ। দুই পরিবর্তন আনেন কোচ লুইস এনরিকেও। তুলে নেন মোরাতা ও আলমাকে। কিন্তু তাতে কী আর কাজের কাজটা হয়! রিয়াল মাদ্রিদের কোনো ফুটবলার না নিয়ে যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন লুইস এনরিকে।
সুইডেন ম্যাচের পর তা আবার একটু হলেও উস্কে যাবে। পুরো ম্যাচে ৮৫ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখেও কোনো গোল করতে পারেনি স্পেন। প্রশ্ন উঠেছে, এই দলে রামোসের মতো একটা নেতার কি সত্যিই দরকার ছিল?