খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বজনপ্রীতি নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে ভিসি ও রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দৌলতপুরবাসী।
রোববার (১৩ জুন) বিকেলে নগরীর দৌলতপুরস্থ উত্তরা ব্যাংক চত্ত্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাগরিক নেতা শাহিন জামাল পনের সভাপতিত্বে এবং এসএম ওয়াজেদ আলী মজনু’র পরিচালনায় দৌলতপুরবাসীর অংশগ্রহণে প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। যা উপহার হিসাবে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের মানুষকে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এ অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় স্বাভাবিক প্রশ্ন করলে তার সঠিক উত্তর দেয়ার পরও মেধানুসারে চাকুরীর নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ অঞ্চলের চাকুরীপ্রার্থীদের অগ্রধীকার না দিয়ে ভিসি ও রেজিষ্ট্রারের নিজস্ব এলাকার নোয়াখালি, নরসিংদীসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছ হতে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে স্বজনপ্রীতি করে এ নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে স্বজনপ্রীতির বাণিজ্য করেছে ভিসি ও রেজিস্ট্রার তা কোনো ভাবেই দৌলতপুরসহ খুলনা অঞ্চলের মানুষ মেনে নেবে না। মানববন্ধনের মাধ্যমে ভিসি ও রেজিষ্ট্রারের অপসারণের আন্দোলন শুরু হলো। দূর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তাদের অপসারণসহ বর্তমান নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে।
এ মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ কামরুজ্জামান, সম্মিলিত দূর্নীতি বিরোধী জোট খুলনার সভাপতি শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিএল কলেজের সাবেক জিএস শহীদুল ইসলাম বন্দ, সাংবাদিক নেতা মোজাম্মেল হক হাওলাদার, কাউন্সিলর কাজী তালাত হোসেন কাউট, মিজানুর রহমান বাবু, শেখ অহিদুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী টিপু, আবু আসলাম বাবু, মাহবুবুর রহমান খোকন, হাসিবুজ্জামান বাবু, আহসান হাবীব, রুবায়েত হোসেন বাবু, বিউটি ইসলাম, ইমরুল ইসলাম, আশুতোষ সাধু, তিলোক গোস্বামী, পুলু মুন্সি, প্রসাদ সাহা কালু, সুমন দাস, শেখ জিহাদ, এমএম জসিম, আবু বক্কার সিদ্দিক, মহিউদ্দিন রাজু, অধ্যাঃ উজ্জল সাহা, প্রবীর বিশ্বাস, সরদার আলামিন রতন, প্রকৌশলী বাচ্চু, মার্শাল টিটু, শেখ ফিরোজ, এমডি সাঈদ, মোল্লা জুয়েল, রাজ আশরাফ, সোহেল মারুফ ও পিটুল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই