ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার ৬ আসামিকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তানিয়া বিনতে জাহিদ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণের এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন উপজেলার পদ্মনগর গ্রামের রোজদার আলী, তার ছেলে রাজিব, ভাই রইচ উদ্দিন ও তার ছেলে শামিম, একই গ্রামের ইসলাম ও মিটুল।
গত ৩ জুন রাতে উপজেলার পদ্মনগর গ্রামে মাদক কারবারিদের ধরতে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। এ সময় আসামি রোজদারসহ কয়েকজনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিরা পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন ৪ জুন হরিণাকুন্ডু থানার এস আই শামিম হোসেন বাদি হয়ে রোজদারসহ ৯ জনকে আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দেয় আসামিরা।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড, জাকারিয়া মিলন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিল। বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। রোববার ৬ আসামি বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই