বাগেরহটের চিতলমারীতে খুচরা বাজারে মাছের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কমপক্ষে একমাস ধরে এ সংকট চলে আসছে। বাজারে যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। মাছের চড়াদামে বিপাকের পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাই ‘মাছে ভাতে বাঙালীর’ মাছের সংকট দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের হাটে মাছ কিনতে আসা পাটরপাড়া গ্রামের আকবর আলী শেখ, সুরশাইলের মিঠু বিশ্বাস, জানান, দেশী বহু প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। অনেক প্রকারের মাছতো পাওয়াই যায় না। স্থানীয় ভাবে চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘেরে চাষের যে সকল কার্প, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন মাছ খুচরা বাজারে পাওয়া যেত, তাও এখন তেমন একটা বাজারে উঠছে না। মাছের ঘের থেকে যে মাছ ধরা হচ্ছে তা সবই চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাই গত একমাস ধরে খুচরা বাজারে মাছের এ আকাল লেগে আছে।
চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের মাছ বিক্রেতা মোঃ আবুজার, কামাল সরদার, মোঃ মিলন, কাঙ্গাল রাজবংশী ও ঠান্ডা মিয়া জানান, এ উপজেলার খালবিলে আর আগের মত মাছ পাওয়া যায় না। চাষকৃত ঘেরের মাছের উপরই এ অঞ্চলের মানুষেরা নির্ভরশীল। গত কয়েক দিনের তাপদাহের কারণে অনেক ঘেরের মাছ মরে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বেশীর ভাগ ঘের ও পুকুরে তেমন একটা মাছ নেই। দু’চারটা যে মাছ আড়তে আসছে তাও চড়া দামে চলে যাচ্ছে ঢাকায়। তাই খুচরা বাজারে মাছের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
চিতলমারী সবুজ সংঘ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ নাজমুল হাসান জানান, বাজারে দু’চারটা যে মাছ পাওয়া যায় তা রাজধানী ঢাকার চেয়ে দাম বেশী। এর আগে চিতলমারীতে মাছের জন্য এ রকম হাহাকার দেখা যায়নি।
স্কুল শিক্ষক মোঃ সাফায়েত হোসেন জানান, এভাবে মাছের সংকট চলতে থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা আমিষের ঘাটতিতে পড়বেন।
মাছ সংকটের বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গ্রীষ্মের তাপদাহে কারণে এ অঞ্চলের খাল-বিল ও মাছের ঘের শুকিয়ে গেছে। এছাড়া এই সময়ে এ উপজেলায় মাছের ঘাটতি দেখা দেয়। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। খাল বিলে পানি হলে আশা করি এ সমস্যার সমাধান হবে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই