মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন, আইসিইউ ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। লকডাউনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে খোড়া অজুহাতে বিভিন্ন জেলা থেকে মোংলা শহরে ঢুকছে মানুষ।
মোংলায় চলমান কঠোর লকডাউন চললেও করোনার সংক্রমণ হার অনুকুলে আসছে না। এর ফলে ৮ দিনের লকডাউন শেষে আজ সোমবার থেকে আরো এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য পুলিশের পাশাপাশী কোস্টগার্ড সদস্যরাও রয়েছে বিভিন্ন চেকপোষ্ট ও শহর এলাকায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন আইসিইউ’র ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন। যার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা নাজুক, দুইটি এ্যাম্বুলেন্স তাও নষ্ট হয়ে পরে আছে হাসপাতালের মাঠে, প্যাথলজি বিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের বাইরে প্রায় ৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকসহ অন্যান্য জেলা থেকে মানুষ মোংলা এলাকায় ঢুকছে হরহামেশা। তাই মানুষের সচেতনতার জন্য প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান এলাকাবাসীর।
করোনার জন্য পৌর শহর এলাকায় সকল প্রকার যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রিক্সা, ভ্যান, নছিমন ও ইজিবাইক চলাচল করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এক দিকে চলছে কঠোর লকডাউন তার মধ্যেও মানুষের মাঝে আসছে না স্বাস্থ্য সচেতনতা। এ জন্য মানুষকে সচেতন করার লক্ষে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পাশে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী ছাড়াও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক ও নিজ উদ্দ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি সচেতন হওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে আজ মোংলায় করোনার কঠোর বিধি নিষেধের ৯ম দিন চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ জন করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন, এরমধ্যে ১৪ জন শনাক্ত হয়েছেন, সংক্রমণের হার প্রায় ৫৪ ভাগ।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ জিবেতোষ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে দুই দিনের নমুনা পরীক্ষার পরিবর্তে ৬ দিন করা হয়েছে। এছাড়া যারা নমুনা পরিক্ষায় পজেটিভ হচ্ছে তাদের সু-চিকিৎসার জন্য সকল পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর আক্রান্তের অবস্থা অবনতি হলে এখানে সেন্টাল অক্সিজেন ও আইসিইউ’র ব্যবস্থা না থাকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম