মোংলায় ঊর্ধ্বমুখী করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। মঙ্গলবার (১ জুন) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৫৯ জন নমুনা পরীক্ষা করান। এরমধ্যে ৩৩ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস।
মঙ্গলবারের রিপোর্ট অনুযায়ী শতকরা সনাক্তের হার ৫৫.৯৩ ভাগ। এর আগে গত শনিবার ৪২ জনের মধ্যে ৩১ জন ও শুক্রবার ২২ জনের মধ্যে ১৬ জন সনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়াতে থাকায় এবং চলমান কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গলবার বিকেলে মোংলায় জরুরী বৈঠক করেছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডাঃ কে, এম হুমায়ুন কবির। বিকেলে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনা সংক্রমণ রোধে করণীয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ কে,এম হুমায়ুন কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, পৌর মেয়র শেখ আঃ রহমান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, এখানে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং মাস্ক ব্যবহারে অনিহা রয়েছে। যার কারণে আগের তুলনায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। এখানে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট এর অস্তিত্বের কোন তথ্য এই মুহুর্তে আমাদের কাছে নাই। তবে করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে, যেহেতু এখানে মোংলা বন্দর রয়েছে, বিদেশীদের সমাগম আছে, তারা স্থানীয় হাট-বাজারে ঘুরছে, কেনাকাটা করছে সেকারণে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এদিকে চলমান কঠোর বিধি নিষেধের তৃতীয় দিনে মোংলায় তা ঢিলেঢালাভাবে মানতে দেখা গেছে। শহরে লোকজন ও যানবাহনের চলাচল ছিলো প্রথম দিনের তুলনায় বেশি। কোথাও কোথাও দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা গেছে। পৌর শহরের কাঁচা বাজার, মুদি ও মাছ-মাংসের দোকানের অধিকাংশ লোকজনকে মাস্ক বিহীন ভাবে গাদাগাদি করে চলাচল করতে দেখা গেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই