ছয় দশকে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তৎকালীন সময়ে নির্মিত উপকূল রক্ষা বাঁধ এখন অকার্যকর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উপকূলবাসীর জানমাল রক্ষায় টেকসই বেঁড়িবাঁধের কোন বিকল্প নেই। যার যার অবস্থান থেকে যুগোপযোগী বাঁধ নির্মাণসহ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করতে হবে। লাখ লাখ জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে উপকূল রক্ষা বাঁধের বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে। এমন এক যৌথ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে জলবায়ুকর্মীদের সাথে পদ্মপুকুরের আলোচিত জনপ্রতিনিধির অনাকাক্ষিত ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটানো হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপকূলের জলবায়ুকর্মী ও জনপ্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট জনের অংশগ্রহণে ওই সমঝোতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমঝোতা সভায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়্যারমান আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হারুন-অর রশিদ, জলবায়ু আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী প্রমুখ।
সভায় গত ২৯ মে পদ্মপুকুরের চেয়ারম্যান কর্তৃক আগের দিন বাঁধের দাবিতে মানববন্ধন করার জেরে স্থানীয় দুই জলবায়ুকর্মীকে লাঞ্চিতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে বিস্তীর্ণ উপকূলকে রক্ষায় সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সব পক্ষকে কাজ করার আহবান জানানো হয়। সমঝোতা বৈঠক শেষে আলোচিত ওই জনপ্রতিনিধির সাথে লাঞ্চনার শিকার দুই জলবায়ু কর্মীর করমর্দনসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় টেসকই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে গত ২৮ মে ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে কাফানের কাপড় পরে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী এলাকায় মানববন্ধন করা হয়। ঔ ঘটনার জেরে পরের দিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এড. আতাউর রহমান মানববন্ধনের উদ্যোক্তা দুই তরুন জলবায়ু এক্টিভিস্ট শাহিন বিল্লাহ ও ইয়াসির আরাফাতকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেন। নাক্কারজনক এমন ঘটনার জেরে দেশের সর্বত্র ব্যাপক আলোড়ন ও সমালাচনার সৃষ্টি হলে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টির নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম