পহেলা জুন থেকে হল ও ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে সশরীরে ও অনলাইনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
গণস্বাক্ষরে সশরীরে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। সপ্তাহব্যাপী এ স্বাক্ষর চলমান থাকবে বলে জানায় আন্দোলনকারীরা। এদিকে দুপুর ১২ টার দিকে একই দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে দাবি আদায় না হলে কঠোরতর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দ্রুত হল ক্যাম্পাস খুলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। না হলে অভিশাপ নামক সেশনজটের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জোর দাবি করছি।
এর আগে গত শনিবার (২৯ মে) শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রদান করেন। এতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী ১ জুন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, স্থগিত ও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো গ্রহণে রোডম্যাপ প্রণয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়নে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করণ এবং করোনাকালে শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একাডেমিক কমিটির মতামতের জন্য প্রতিটি বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে বেশি সংখ্যক মতামত এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যপারে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। উপাচার্য এলেই দ্রুত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং হবে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এর আগে একই দাবিতে গত ২৭শে মে গলায় প্রতীকী ফাঁস দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
খুলনা গেজেট/ এস আই