জান্নাতের অবারিত নেয়ামতের অন্যতম একটি হবে এই যে, জান্নাত সর্বদাই সালামের পবিত্র শব্দমালা দ্বারা মুখরিত থাকবে। সবাই সবাইকে সালাম দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবে। রহমতের দুয়ায় শিক্ত করবে। থাকবেনা কোন ঝগড়া-বিবাদ, গালমন্দ। কেবল সালাম আর সালাম। ঠিক এই কথাটিই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এভাবে বলেছেন- “জান্নাতীগণ সেখানে কোন অহেতুক বা মিথ্যা কথা শুনবে না। বরং সেখানে শুধু সালাম আর সালামই গুঞ্জরিত হতে থাকবে। (সুরা ওয়াকিয়াহ-২৫,২৬)
জান্নাতীরা যখন দলবেধে জান্নাতের দোরগোড়ে গিয়ে উপস্থিত হবে তখন জান্নাতের প্রসস্ত দরজাগুলি তাদের জন্য উন্মুক্ত হবে। আর সম্ভাষণ পর্বে দ্বাররক্ষীদের অভিবাদন হবে “সালামুন আলাইকুম” জান্নাতে তোমাদের আমন্ত্রণ মঙ্গল হোক। তোমরা এখানে চিরস্থায়ীভাবে প্রবেশ কর। (যুমার-৭৩)
আরো মজার ব্যাপার হল জান্নাতের কোন একদিনের ঘটনা। মিশকাত শরীফে এই ঘটনাটি হযরত জাবের রা. এর সুত্রে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে জান্নাতে এই দিনটির স্বাক্ষী হওয়ার তৌফিক দান করুন।
ঘটনা এই যে, মুমিনগন যখন জান্নাতে সুখ শান্তি আর নেয়ামতপূর্ণ দিন কালাতিপাত করবে, তখন হটাৎ একদিন ভিন্ন রকম এক নুর বা আলো সমগ্র জান্নাত পরিবেষ্ঠিত করে নিবে। কৌতুহলী জান্নাতবাসী চোখ তুলে খুজতে থাকবে এই উজ্জল আলোর উৎস কোথায়! দেখা যাবে উপর দিক থেকে মহান আল্লাহ তার নূরানী চেহারার দর্শন দিচ্ছেন। আর সেই জ্যোতি ঠিকরে পড়ছে সমগ্র জান্নাত জুড়ে।
এমন সময় গোটা জান্নাতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর মধুমাখা কন্ঠে উচ্ছারিত সালামের এই পবিত্র সব্দগুচ্ছ। “আস সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ”
জান্নাতীদের জন্য সেই মুহূর্তটি যে কতখানি সুখময় হবে তা কেবল সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষার বিষয়। তবে এই মুহূর্তে পাঠকের জন্য পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটুকুই সান্তনা। “সালামুন ক্বাওলাম মির্ রব্বির রহিম” আর তাদের (জান্নাতীদের) প্রভুর পক্ষ থেকে তাদের জন্য থাকবে সালামের শুভেচ্ছা। (সুরা ইয়াসিন-৫৮)
(লেখক : শিক্ষক, ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া, ফুলবাড়িগেট, খুলনা)।
খুলনা গেজেট/এনএম