গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় গ্রামটি বিশেষভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বৌলতলী ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী সাতপাড় ও সাহাপুর ইউনিয়নের সকল সাপ্তাহিক হাট ও প্রতিদিনের খোলা বাজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: সাকিবুর রহমান জানান, তেলিভিটা গ্রামের মটর গ্যারেজেরে ব্যবসায়ী বিভাষ কৃত্তনীয়া করোনার উপসর্গ ঠান্ডা ও জ্বর নিয়ে গত রবিবার (২৩) মে মারা যান। এর জের ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিলে তারা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানায়। এর জের ধরে ওই গ্রামের ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। গতকাল বুধবার (২৬ মে)তাদের নমুনা পিরীক্ষার রিপোর্টে ২৩ জনের করোনা পজেটিভ আসে। পরে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এ কারনে গতকাল বুধবার সকাল থেকে তেলিভিটা গ্রামসহ আশপাশের জনবহুল এলাকা তেলিভিটা গ্রামসহ আশপাশের জনবহুল এলাকা বিশেষভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।এছাড়া ওই গ্রামের আরো ৮৭ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যাদের রিপোর্ট আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আসবে।
এদিকে, করোনা আতংক ও সংক্রমণ রোধে সদর উপজেলার সাতপাড়ের সাপ্তাহিক হাট বন্ধ ঘোষনা করে সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজিত মন্ডল।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, এক বাড়িতে ১৮জনসহ একই পাড়ায় ২৩ জনের করোনা পজেটিভ হওয়ায় করোনা প্রতিরোধ করতে এবং সাধারন মানুষকে সচেতন করে তুলতে তেলিভীটা গ্রামকে বিশেষভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার মানুষ যাতে বেশী জনগমাগম না করে এবং সচেতন হয় তার জন্য বৌলতলী, সাতপাড় ও সাহাপুর ইউনিয়নের সকল সাপ্তাহিক হাট ও প্রতিদিনের খোলাবাজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই এলাকার সাধারন মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম ও স্বেচ্ছাসেবী টিম সার্বক্ষনিক কাজ করছে।
খুলনা গেজেট/কেএম