ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় রামপাল উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। অতিতের অভিজ্ঞতা থেকে অগ্রিম আশ্রয়কেন্দ্র নির্ধারণ, শুকনা খাবার, খাবার স্যালাইন ও মেডিকেল টিম গঠনসহ সকল ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার দশটি ইউনিয়নে মোট ১৬৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি স্থায়ী ও বাকি ১৪৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলোতে প্রায় ৮০ থেকে ৮৪ হাজার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবে। তাদের জন্য শুকনা খাবার, ডাইরিয়াজনিত কারণে খাবার স্যালাইনসহ সকল ধরনের ঔষধ ও খিচুড়ি-ভাতের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া ইয়াস মোকাবিলায় মেডিকেল টিম, কন্ট্রোল রুম, পুলিশ বাহিনীর উদ্ধার অভিযান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক তদারকিও অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট ও ওয়ার্ল্ড ভিশনসহ বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরাও সহযোগীতা করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ইয়াস মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুত গ্রহণ করেছি। উপজেলায় মোট ১৬৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছ। সেগুলোতে মোট ৮০ হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া শুকনা খাবার, খাবার স্যালাইন, মেডিকেল টিম, পুলিশ বাহিনীর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো দূর্যোগ সতর্ক সংকেত পাওয়া মাত্রই জেনো সবাই স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়। সাথে তাদের গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি সাথে নিয়ে যাবেন। সেগুলোকে সাইক্লোন সেন্টারের নিচে রাখার ব্যবস্থা থাকবে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে আসা নারীপুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা থাকার ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় ডিসি স্যার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছেন হয়তো আজ বা কাল চলে আসবে।
খুলনা গেজেট/এনএম