তুরস্কের বিখ্যাত ব্লু মসজিদ। এটি সুলতান আহমেদ মসজিদ নামেও পরিচিত। আর এই মসজিদ ভ্রমণ করে ইসলামের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন এক ব্রিটিশ মহিলা। দুই বছর আগে আয়েশা রোজালি নামের ওই ব্রিটিশ নারী এ মসজিদ ভ্রমণে আসেন। এরপর থেকে তিনি ইসলাম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত করেন।
জানা যায়, আয়েশা রোজালি আমেরিকার লস এঞ্জেলেসের বাসিন্দা। যদিও একসময় রোজালি অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। অভিনেত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণও নেন। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর রোজালি পুরোপুরি অভিনয় ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইসলামের বাণী প্রচার করেন।
রোজালি জানান, ‘ইসলাম গ্রহণে আগ্রহীদের আমি সহায়তা করতে চাই। আমি চাই আরো বেশি মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আসুক।’এমনকি রোজালি জানান, ‘মুসলিম হওয়ার আগে আমি কোনো ধর্ম অনুসরণ করতাম না। তবে ছোটবেলা থেকে একজন ঈশ্বর আছেন বলে আমার বিশ্বাস ছিল। তাছাড়া আমার মা-বাবা ধার্মিক না হওয়ায় ধর্মের প্রতি আমার অনুরাগও ছিল না। তাই ইসলাম গ্রহণের আগে তেমন ধার্মিক লোক আমি দেখিনি।’
তুরস্ক ভ্রমণের কথা জানিয়ে বলেন, ‘তুরস্কে এসে ধর্ম সম্পর্কে জানার আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। গুগলে চার্চ করে ব্লু মসজিদের সন্ধান পাই। মনে মনে ভাবি যে এই মসজিদে আমার যাওয়া উচিত।’মসজিদ পরিদর্শন করার আগে রোজালি স্থানীয় দোকান থেকে হিজাব কিনেন। সবার কাছে আমি সম্মানিত থাকতে চাই। ‘আমি ভেবেছিলাম, চুল দৃশ্যমান রাখলে মানুষ আমার ওপর রাগ করবে। তাই একটি হিজাব কিনি। যেন কেউ আপত্তি জানাতে না পারে।’
মসজিদ ভ্রমণে এসে রোজালি ইসলাম সম্পর্কে জানেন এবং আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রোজালি জানান, ‘ব্লু মসজিদে প্রবেশ করে একটি তাসবিহ ও জায়নামাজ নেই এবং কিছুক্ষণ তাসবিহ পাঠ করি। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমি তাসবিহ পড়ি। মসজিদের চারপাশ দেখে মুগ্ধ হয়ে পড়ি। মসজিদের ভেতরের সৌন্দর্য অবাক করার মতো। ভেতরে পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত ও নীরব। আমার সামনে অনেক মানুষকে একসাথে নামাজ আদায় করতে দেখি। মসজিদের ভেতরের অবিশ্বাস্য মুগ্ধকর দৃশ্য ও নীরব পরিবেশ উপভোগ করতে থাকি। আমাকে দেখে কেউ আওয়াজ করছেন না দেখে খুবই অবাক হই।’সূত্র : পুবের কলম
খুলনা গেজেট/কেএম