করোনা মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ১৪ হাজার।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা।
শনিবার (২২ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ হাজার ৩৮৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ১০৫ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৩৩০ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৭২ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩ হাজার ৪০৮ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৫৯ লাখ ৭৬ হাজার ১৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৭ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৮ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৫ লাখ ৮১ হাজার ৩৫১ জন, রাশিয়ায় ৪৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮৪৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৩ জন, ইতালিতে ৪১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭৬ জন, তুরস্কে ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫১ জন, স্পেনে ৩৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৩ জন, জার্মানিতে ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার ৬০০ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ১৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৮ হাজার ৪৩৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ১৭ হাজার ৭৩৯ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৭১০ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৫ হাজার ২৮ জন, তুরস্কে ৪৫ হাজার ৮৪০ জন, স্পেনে ৭৯ হাজার ৬২০ জন, জার্মানিতে ৮৭ হাজার ৮৫২ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ২১ হাজার ৮০ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
খুলনা গেজেট/কেএম