ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতের মধ্যেই হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেছেন যে, উভয় পক্ষ দু’একদিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতিতে একমত হবে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, ইসরায়েলিদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বৃহস্পতিবারও গাযায় হামাসের নানা স্থাপনার ওপর অন্তত একশ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলা করে এর জবাব দিয়েছে।
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই এলাকাটি মুসলিম ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।
সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়ে গাযা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস রকেট ছুঁড়তে শুরু করে। এর জবাবে গাযায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
এ সহিংসতায় গাযায় প্রায় একশ নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২২৭ জন নিহত হয়েছে । হামাস অবশ্য তার যোদ্ধাদের ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য প্রকাশ করেনি। আর ইসরায়েলে দুটি শিশুসহ বার জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি গাযা থেকে তার ভূখন্ড লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস।
হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক লেবাননের আল মায়াদিন টেলিভিশনকে বলেছেন, “আমি মনে করি যুদ্ধবিরতির জন্য বর্তমানে যে চেষ্টা হচ্ছে তা সফল হবে”। “আমি দু একদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আশা করছি এবং যুদ্ধবিরতি হবে উভয় পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে”।
তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন সহিংসতা বন্ধের জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ বাড়ছে। মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, দু’পক্ষ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে তবে আলোচনা এখনো চলছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চতুর্থবারের মতো ফোন করে মিস্টার নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে সহিংসতা কমিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন”।
এর মধ্যে বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে যুদ্ধবিরতির জন্য ফ্রান্সের আনা একটি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে গাযায় সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এত খান ইউনিস শহরে চার জন আহত হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসের রকেট উৎক্ষেপণ সাইটে হামলা করেছে।
ওদিকে ইসরায়েলি শহর বীরসেবা এবং গাযা সীমান্তবর্তী এলাকায় রকেট সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা কতটুকু, তা সময়ই বলে দেবে।
খুলনা গেজেট/এনএম