ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা, যুক্তরাষ্ট্রের বাধায় রোববারের বৈঠকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান ইসরায়েলি অরাজকতার বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রকাশেও ব্যর্থ হয় নিরাপত্তা পরিষদ।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দুই রাষ্ট্র সমাধান ব্যাহত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, সংঘাত বন্ধে দুই পক্ষকে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত করাতে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
এ সময় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি বলেন, ‘ইসরায়েল প্রায়ই আমাদের বলে তাদের জুতো পরে দেখতে যে তারা কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অথচ তারা তো জুতোই পরে না। ‘মিলিটারি বুট পরে আমাদের ওপর চেপে বসেছে তারা। শনিবারও একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ১০ জনকে হত্যা করেছে তারা। এই অমানবিকতার কী ব্যাখ্যা হতে পারে?’
জবাবে ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাড এরডান বলেন, ‘হামাসের ছোড়া রকেটে ১০ বছর বয়সী এক আরব-ইসরায়েলি মেয়ে নিহত হয়েছে। বেসামরিক প্রাণহানি এড়িয়ে সন্ত্রাসীদের নির্মূলে যে নায়কোচিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, সেটা দেখুন।’এ সময় হামাসের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদকে একাট্টা হওয়ার আহ্বান জানান এরডান। তিনি বলেন, নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যা করতে হয়, সব করবে ইসরায়েল।
অস্ত্রবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলাদা জরুরি বৈঠক করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। যদিও কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া শেষ হয় সে বৈঠকটিও।
এমন বাস্তবতায় পূর্ণ শক্তিতে গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। চলমান সহিংসতার সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন রোববার এমন বিপরীত চিত্র দেখল বিশ্ব। একদিনে সেখানে মারা গেছে ৪২ ফিলিস্তিনি। আর গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলের হামলায় ৫৫ শিশুসহ নিহত হযেছে ১৯২ ফিলিস্তিনি।
খুলনা গেজেট/কেএম