ইসরাইলি অভিযোগের পাল্টা ও কড়া জবাব দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। শনিবার গাজায় অবস্থিত মিডিয়া বিল্ডিং বলে পরিচিত আল জালা ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। এই ভবনে ছিল আল জাজিরা, এপি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ার অফিস। সেখানে বিমান হামলা সম্পর্কে ইসরাইল দাবি করেছে, ওই ভবনে হামাসের সামরিক শাখার কর্মকান্ড ছিল। জবাবে এপি বলেছে, ভবনটিতে হামাসের অফিস থাকার কোনো তথ্য তাদের কাছে ছিল না। যদি এমনটা থেকে থাকে, তাহলে তার প্রমাণ দিতে বলেছে ইসরাইলকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার মাত্র এক ঘন্টা আগে ইসরাইল সেখানে বোমা হামলার ঘোষণা দেয়।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলা সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই হাই-রাইজ ভবনটি হামাস তার সামরিক গোয়েন্দার কাজে ব্যবহার করতো। এর জবাবে বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত বা তথ্য ছিল না। এপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি প্রুইত এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ চেয়েছি ইসরাইলি সরকারের কাছে। এই ভবনটিতে ১৫ বছর ধরে এপির ব্যুরো অফিস। কিন্তু এ সময়ে আমাদের কাছে এমন কোনো ইঙ্গিত আসেনি বা এমন কোনো কর্মকা- প্রত্যক্ষ হয়নি যে, ভবনটিতে হামাসের অস্তিত্ব আছে বা তারা এই ভবনে সক্রিয় ছিল। আমাদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা দিয়ে সক্রিয়ভাবে এ বিষয়টি যাচাই করে দেখতে হবে। আমরা কখনোই আমাদের সাংবাদিকদেরকে সজ্ঞাতে জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দিতে চাই না।
আল জালা ভবনকে টার্গেট করার জন্য তিনি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, এটা এক হতাশাজনক অবস্থা। তারা দীর্ঘ সময় ধরেই জানে এই ভবনটি বিভিন্ন মিডিয়া ব্যবহার করে। তারা আরো জানতো যে, ভবনটিতে সাংবাদিকদের উপস্থিতি আছে। তবে নোটিশ পাওয়ার পর কয়েক ডজন সাংবাদিক এবং এপির ফ্রিল্যান্সারকে সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সামান্য সময়ের ব্যবধানে আমরা ভয়াবহ সব প্রাণহানী এড়াতে পেরেছি।
খুলনা গেজেট/এনএম