ফেনীর কালিদহ ইউপির মাইজবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে এক মাদরাসা ছাত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী শহরতলীর কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে আনোয়ার ড্রাইভার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর অভিযুক্ত চাচাতো ভাই নিশানকে ঘটনার দিন রাতে আটক করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
নিহত আনিশা সৌদি প্রবাসী শহীদুল ইসলামের ছোট মেয়ে। সে ফেনী শহরের একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। লকডাউনের কারণে সে বাড়িতে চলে আসে।
নিহতের মা জানায়, রাতে আনিশাকে একা রেখে তারা পাশের বাড়িতে ঘুরতে যায়। বাড়ি ফেরার পর আনিশাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করলে এক পর্যায়ে ছাদে গিয়ে আনিশার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
এ খবর শুনে ফেনী জেলার এসপি খোন্দকার নুরুন্নবী, অতিরিক্ত এসপি আতোয়ার রহমান, ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফেনীর এসপি খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, রাতে এক ছাত্রীর গলা কাটা লাশের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে।
ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘটনার অভিযোগে নিহত শিশুর চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও রশি প্যাঁচানো ছিল। মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খুলনা গেজেট/এনএম