নতুন বাজারের মাছ বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই। বেচা-কেনা ঠিকঠাক চললেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা কেউ। দু’একজন ক্রেতার মুখে মাস্ক থাকলেও ঝুলছে থুতনির নিচে। এ অবস্থা চলে রবিবার সকাল আটটা থেকে দুপুর দু’টা নাগাদ।
মাছের চাদনীতে আনুমানিক বিক্রেতার সংখ্যা ৪০ জন। কেউ চিংড়ি, পারশে, পাঙ্গাস, ইলিশ, শিং, রুই, আবার কেউ শৈল, কৈ বিক্রি করছে। দুপুর ১২টা পর ভিড় কিছুটা কমে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে না। এর নিয়ন্ত্রণকর্তাও নেই কেউ।
মাস্কবিহীন মাছ বিক্রেতা আশরাফ আলী ইলিশ বিক্রি করছেন। প্রতি কেজির দাম ছয়শো থেকে আটশো টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। মুখে মাস্ক নেই কেনো জানতে চাইলে পকেটে থাকা মাস্ক দেখিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক পরে ক্রেতার সাথে দর দাম করতে সমস্যা হয়, অনেক সময় ক্রেতা কথা বুঝতে পারেনা, পরে দামাদামি নিয়ে ঝামেলা হয়।
পাশেই আরেকজন বিক্রেতা সবুর আলী শিং মাছ বিক্রি করছেন। তার মুখেও মাস্ক ছিল না। মাস্ক না পরার কারণ হিসেবে বলেন, বাজারে ক্রেতা কম, আর গরমে মাস্ক পরলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
মাছ বাজারের পাশের কাঁচামালের দোকানদার সেকেন্দার আলী জানান, লকডাউনের প্রথম দু’একদিন সকলে মাস্ক পরলেও এখন আর কেউ সে সবের তোয়াক্কা করছে না।
উল্লেখ্য, দিনের প্রথমার্ধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতার জন্য মাইকিং করলেও নতুন বাজারে মাস্কবিহীন মাছ বিক্রেতাদের দেখার কেউ নেই।
খুলনা গেজেট/এনএম