ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামে সম্রাট হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার রাত ১০টার দিকে তারই বন্ধু সবুজ হোসেন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছে। রোববার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সম্রাট হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামের সমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পদ্মা কোম্পানির মাটি-কাটা মেশিন ভেকুর চালক ছিলেন। করোনার সময়ে তিনি কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়িতে আসেন।
স্বজনদের অভিযোগ, সম্রাট হোসেন ও সবুজ হোসেন বন্ধু হওয়ার কারণে দু’জন একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় মাটিকাটা মেশিনে কাজ করতো। এরই মাঝে সবুজ যেখানে কাজ করতো সেখানে ভেকু মেশিনের তেল চুরি করার অপরাধে একবার ধরা পড়ে। এ ঘটনা সম্রাট হোসেন এলাকায় বলে দিলে চোর হিসাবে সবুজকে কেউ কাজ দেয় না। এ শত্রুতার জের ধরে সম্রাটকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় সবুজসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি মিজানুর রহমান জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে সবুজ তাকে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে মাঠে নিয়ে যায়। এরপর কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় পথচারীরা টের পেয়ে পুলিশ ও স্বজনকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সবুজ পলাতক রয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম