স্টুয়ার্ট ব্রডের আবেদনে আম্পায়ার যখন সাড়া দিলেন, ততক্ষণে শান মাসুদের নামের পাশে ১৫৬ রান। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আক্ষেপের জায়গা ছিল না। তবে দলের জন্য আরও কিছু রান না তুলতে পারার আক্ষেপেই কিনা রিভিউ চাইলেন শান মাসুদ। তবে ব্যর্থ তিনি। নবম উইকেট হিসেবে ফিরে যাওয়াতে সাঈদ আনোয়ারের পর দ্বিতীয় বাঁহাতি ওপেনার হিসেবে পারলেন না ব্যাট ক্যারি করতে। তবে এই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান।
২০০৫ সালে মোহাম্মদ হাফিজের পর কোনো ওপেনার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে এত রান করলেন শান মাসুদ। হাফিজ অবশ্য শতকের দেখা পাননি। তবে শান মাসুদ ৩১৯ বলে ১৮ চার আর ২ ছক্কায় খেলেছেন ১৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এরমধ্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। যার মধ্যে এটি নিয়ে টানা তিন ইনিংসে করলেন তিন সেঞ্চুরি।
এই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তান ইনিংসে রান পেয়েছেন কেবল বাবর আজম এবং শাদাব খান। টপ অর্ডারে বাবর খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। এরপরে ১৭৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান।
সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারে শাদাব খানকে নিয়ে ১০৫ রানের বড় জুটি গড়েন শান মাসুদ। দলীয় ২৮১ রানের মাথায় শাদাব ৪৫ করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। শেষের ব্যাটসম্যানরাও ভালো কিছু করতে পারেনি দলের জন্য।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড আর জোফরা আর্চার। ২ উইকেট শিকার ক্রিস ওকসের।
খুলনা গেজেট/এএমআর