উচ্চ ফলনশীল পুষ্ট সমৃদ্ধ মাঠভর্তি পাকা সোনালী গমের আবাদ। শুধুমাত্র দেশি আমন ধান ফসল হতো। পরে থাকতো পতিত জমি হিসেবে। এ বারে ৫০ শতক জমিতে গম চাষ শুরু করেন মো. শহিদুল ইসলাম লিটন। গম চাষে সার ও কীটনাশক কম লাগে, একটু সেচ দিলে ভালো ফলন হয়। ৯০ দিনের মাথায় ২০ মন গম পাওয়ার সম্ভাবনা।
মোড়েলগঞ্জ ১৫নং সদর ইউনিয়নের ভাইজোড়ার বাসিন্দা সফল কৃষক শহিদুল ইসলাম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী দেশি আমন ধান ঘরে তোলার পরে পতিত দেড়বিঘা জমিতে বারি ৩২ গম চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে মুখে হাঁসি ফুটেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলায় ১৬ হেক্টর তথা ৪০ একর জমিতে এ গমের ফসল চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। প্রতিমন গম বাজারে বিক্রি হবে ১২শ’ থেকে ১৪ শ’ টাকা।
ভাইজোড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম লিটন, সেলিম শেখ, শুকুর শেখ, আব্দুল আজিজ শেখ সহ একাধিক কৃষকরা দাবী করেন কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যেমে নির্দিষ্ট সময়ে বীজ ও সার বিনামূল্যে আরো বেশি পরিমান দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মর্তাদের প্রতি দাবি জানান তারা।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পতিত জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষে এ ইউনিয়নে প্রথম বারে এ গমের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন হওয়া কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে।
খুলনা গেজেট/কেএম