খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার

যশোর হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ভারত ফেরত ১০ করোনা রোগী

যশোর প্রতিনিধি

যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ভারত থেকে আসা দশ করোনা রোগী। শনিবার সকাল থেকে রোববার সন্ধ্যার মধ্যে তারা পালিয়ে গেছে। অবশ্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাত্র দু’জন রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয় স্বীকার করেছেন। সিভিল সার্জন বলেছেন, হাসপাতালে দেয়া নাম-ঠিকানা ঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।

অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের তদারকির অভাবে তারা পালিয়েছেন। এতে তাদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট যশোরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্রাদার তারক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল দশটা ৫৭ মিনিটে ভারত ফেরত কিছু রোগীকে ভর্তি করা হয়। এরপর রোববারও রোগী আসে। সবমিলিয়ে দুইদিনে দশজন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের সবাইকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।

হাসপাতালের রেজিস্টার অনুযায়ী ভর্তি রোগীরা হলেন, যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), খালধার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত (৫০), সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৯), একই গ্রামের ইকরামের স্ত্রী রোমা বেগম (৩০), প্রতাপকাঠি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মোমিন (৪০), রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫০), বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের মনোতোষের স্ত্রী শেফালি রানি (৩৫), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহম্মদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৩৮) ও একই জেলার রূপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল (১৭)।

হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স লাবনী বিশ্বাস বলেন, ভারত থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা দশজন রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু সোমবার সকালের পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি কোনো পরিবারে থাকে তার মাধ্যমে প্রথমে তার পরিবার এবং আশপাশের লোকজনও আক্রান্ত হতে পারেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ভেরিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় বলেন, আমার জানা মতে হাসপাতাল থেকে করোনায় আক্রান্ত দুইজন রোগী পালিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীকে হাসপাতালে আনা হলে তা পুলিশ এস্কট করে দিয়ে যাবে। একইসাথে তাদের পাসপোর্ট পুলিশ হাসপাতালে জমা করবে। কিন্তু তার কোনোটাই করা হয়নি। কোনো রোগী যাতে পালাতে না পারে সেজন্য বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার বিষয়ে তিনি পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলবেন বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, রোগী পালানোর কথা শুনে আমি (সোমবার) সকালে জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সাথে কথা হয়েছে। যে দশজন রোগী পালিয়েছে, তাদের নাম ঠিকানা সঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনায় আক্রান্ত রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে তাদের উদ্ধার করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!