বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বসয়ভিত্তিক দল ও বাছাই করা ৪৫ ক্রিকেটার নিয়ে ২২ আগস্ট থেকে বিকেএসপিতে ক্যাম্প করবে বিসিবি। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হবে আকবর আলীদের উত্তরসূরি।
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশকে প্রথম শিরোপা এনে দিয়েছিলেন আকবর আলীরা। গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে হারিয়ে বিজয়ের ঝাণ্ডা উড়ায় যুবারা। যুবাদের শিরোপা জয় কোনো রূপকথা ছিল না। সোনার কাঠি, রূপার কাঠির পরশেও আসেনি। এ সাফল্য এসেছে নিখুঁত প্রক্রিয়ায়, চার বছর ধরে চলা দীর্ঘ পরিকল্পনা ও সেটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে। দুই বছর পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজে আছে আরেকটি যুব বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়ন ট্যাগ নিয়ে সেই আসরে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু করোনার কারণে আকবরদের উত্তরসূরির খোঁজ এবং তাদের তৈরি করার কার্যক্রম পুরোপুরি থেমে ছিল।
অবশেষে আশার সূর্যর উদয় হলো। বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার অনুমতি পেল বিসিবি। ঈদের আগে বিকেএসপিতে আবাসিক ক্যাম্প করার অনুমতি চেয়েছিল বিসিবি। বুধবার বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানতে পেরেছেন বিকেএসপি থেকে ক্যাম্প করার অনুমতি পাওয়া গেছে। শিগগিরই বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পত্র পাঠাবে বিকেএসপি।
জানা গেছে, ১৬ আগস্ট ক্রিকেটারদের স্থাস্থ্য পরীক্ষা করাবে বিসিবি। এবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সাথে করানো হবে করোনা পরীক্ষাও। চারদিন বিসিবির একাডেমিতে স্পেশাল ট্রেনিংয়ের পর ২০ আগস্ট তাদের বিকেএসপিতে নেওয়া হবে। দুইদিন পর শুরু হবে তাদের ক্যাম্প। এ কন্ডিশনিং ক্যাম্প থেকে ২৫-৩০ জনের প্রাথমিক দল বাছাই করবেন নির্বাচকরা। যাদের নিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করবে বিসিবি।
বিসিবির ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার আবু ইমাম মো. কাওসার বলেন,‘বিকেএসপি আমাদের ক্যাম্পের জন্য আদর্শ। সেখানকার অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা সবকিছু দারুণ। আমাদের লিগের খেলা, প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ সেখানে হচ্ছে। এর আগেও আমরা যুব দলকে ওখানে নিয়ে ক্যাম্প করিয়েছি। এবার হয়তো বেশি ক্রিকেটার থাকবে, আমরা বেশিদিনের জন্য যাবো। তবে পরিকল্পনা মাফিক সবকিছু হবে।’
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বকাপের পূর্ব পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৬ ম্যাচ খেলেছিলেন আকবর-শরীফুলরা। এবারও দেড় বছরে যুব দলকে ৩০টির বেশি ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের। এজন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। এর আগে তাদের বাছাই করার কঠিন কাজটা করত হচ্ছে বিসিবিকে।
খুলনা গেজেট/এএমআর