নেপালের আক্রমণভাগকে ঠেকানোতেই সময় কেটেছে বাংলাদেশের। কিন্তু ছন্নছাড়া রক্ষণভাগ ব্যর্থ। বিরতিতে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় গোল হজম করেছে সফরকারীরা। সতীর্থের বাড়ানো বল বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের শটে জালে জড়ান বিশাল রাই।
কর্নার কিক থেকে পাওয়া বলে ১৮তম মিনিটে সানজোগ রাই বাঁ পায়ের শটে নেপালকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম গোল করলেন তিনি। আর ১৮ মাস পর প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পেলো নেপাল। ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের পর থেকে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি তারা।
সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নেপাল ও বাংলাদেশ শিরোপার লড়াইয়ে নেমেছে। মাঠে না থেকেও ম্যাচটি দেখতে পারছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাদের জন্য খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের ক্রীড়াবিষয়ক টিভি চ্যানেল টি স্পোর্টস।
এই ম্যাচটি জিতলে দেড় যুগ পর প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক ট্রফিতে হাত রাখবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ শেষবার ফাইনাল জিতেছিল ১৯৯৯ সালে। এসএ গেমসে নেপালের মাটিতেই স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
দুটি করে ম্যাচ খেলে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দুই দল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ কিরগিজস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ১-০ গোলে হারায়। ওই গোলটিই এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের একমাত্র গোল। সেটাও এসেছিল আত্মঘাতী শটে। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচে নেপাল ও কিরগিজস্তানের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচেও একই ফল। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফাইনাল। নেপাল দুই ড্রয়ে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকে।
বাংলাদেশ একাদশ: আনিসুর রহমান, মেহেদী হাসান, রিমন হোসেন, জামাল ভূঁইয়া, মতিন মিয়া, সুমন রেজা, রিয়াদুল হাসান, মানিক মোল্লা, মেহেদী হাসান, রাকিব হোসেন, সাদ উদ্দিন।
খুলনা গেজেট/কেএম