বাগেরহাটের চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। করোনার প্রভাবের পর থেকে এ অর্থ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বহুকাঙ্খিত ও অতি প্রয়োজনীয় এ ভবনের নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে মাদ্রাসাটির সাত শতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে ইসলাম শিক্ষার লক্ষে আড়য়াবর্নী ও পাটরপাড়াসহ আশেপাশের গ্রামের তৎকালীন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে বরিশালের মাওলানা আউয়ুব আলী মুহতামিম হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের দিকে অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজের কাছে যান। তারা চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র বিভিন্ন বিষয় হুজুরের কাছে তুলে ধরেন। তিনি সব কিছু শুনে তার প্রিয় ছাত্র মাওলানা আব্দুর রহমানকে চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র মুহতামিম হিসেবে পাঠান। সেই থেকে চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে।
চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র মুহতামিম আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই মাদ্রাসায় ৪০০ জন ছাত্র, ৩৫০ জন ছাত্রী, ২৮ জন শিক্ষক, ৩ জন খাদেম ও ২ জন বাবুর্চি আছে। নূরানী বিভাগ থেকে মিশকাত পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিভাগ চালু রয়েছে। তাই এত মানুষের জন্য আবাসন, ক্লাশ রুম ও প্রশাসনিক ভবনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেই সংকট লাঘবের জন্য ২০১৯ সালে ৫ তলার ভিত্তিপ্রস্তর দিয়ে বিশাল মাপের একটি বহুলত ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পিলার গুলো দাঁড় করিয়ে প্রথম তলার ছাঁদ ঢালাইয়ের আগেই করোনা মহামারি হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রভাবে অর্থ সংকট সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র কাঙ্খিত ও অতিপ্রয়োজনীয় বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ। আর কবে নাগাদ এ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে মাদ্রাসাটির সাত শতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই নির্মাণাধীন কাজ শেষ করার জন্য স্বহৃদয়বান ব্যক্তিদের চিতলমারী দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা’র হিসাব নং-৩৪০১৯৭১১, সোনালী ব্যাংক, চিতলমারী শাখা অথবা ০১৯১১-৪৩৪৯৮৫ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই