প্রথম দুই ওয়ানডের মত আজ মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও জয়ী হয়ে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তাতে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সুপার লিগের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিততে সক্ষম হবে ইংল্যান্ড।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে নতুন নিয়ম চালু করে বিশ্ব ক্রিকেটের নির্বাহী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আর সেটি হলো, বিশ্বকাপের সুপার লিগ। আগামী তিন বছরে সুপার লিগে খেলে র্যাংকিংএ শীর্ষ সাত-এর মধ্যে থাকতে পারলেই সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থাকবে। শীর্ষ সাত-এর বাইরের দলগুলো বাছাই পর্ব খেলবে।
তাই গত ৩০ জুলাই ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দিয়ে শুরু হয় বিশ্বকাপের সুপার লিগ। প্রথম ম্যাচ ৬ উইকেটে ও দ্বিতীয় ওয়ানডে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। এবার আইরিশদের হোয়াইটওয়াশের সুযোগ ইয়ন মরগ্যানের দলের।
হোয়াইটওয়াশের সুযোগ কাজে লাগাতে চান ইংল্যান্ডের ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর এই সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট ফিরেছে। ফিরে আসা ক্রিকেটে আমরা ভালো পারফরম্যান্স করেছি। আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবার আমরা সিরিজের শেষ ম্যাচও জিততে চাই। আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাই।’
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে ইংল্যান্ডের পক্ষে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডে নাম তুলেন বেয়ারস্টো। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি আছে অধিনায়ক ইয়োইন মরগ্যানেরও। ২০১৮ সালে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮২ রানে থামেন বেয়ারস্টো।
দুম্যাচের কোনোটিতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হারে তারা। তবে দুম্যাচেই পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন এই সিরিজেই অভিষেক হওয়া কার্টিস ক্যাম্পার। প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ৫৯ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮টি চারে ৮৭ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।
তবে শেষ ম্যাচে জয়ের স্বাদ নিতে চান ক্যাম্পার। তিনি বলেন, ‘সিরিজে আমরা দলগত পারফরম্যান্স করতে পারিনি। যে কারণে সিরিজটি হারতে হলো আমাদের। এখনও নিজেদের পারফরম্যান্স প্রদর্শনের সুযোগ আমাদের রয়েছে। আশা করছি, তৃতীয় ম্যাচে পুরো দলই ভালো কিছু করতে পারবে।’
খুলনা গেজেট/এএমআর