বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে খুলনার বিপক্ষে ফলো অনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রথম স্তরে উঠে আসা সিলেট বিভাগ। মূলত জাকির হাসানের শতকে ইনিংস হার এড়িয়ে লিডও নিয়েছে তারা।
বুধবার (২৪ মার্চ) শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেট ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৫০ রান। দুই ইনিংস মিলে তাদের লিড ৯ রান। সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন জাকির হাসান। অপরাজিত আছেন ১১৮ রানে। অমিত হাসান করেছেন ৬৬ রান। এর আগে খুলনার বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রান করে অল আউট হয় সিলেট। প্রথম ইনিংসে খুলনা করেছিলো ৩৭৫ রান।
মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে দিন শেষ করেছিলো সিলেট। সেখান থেকে আজ মাত্র ৪ রান যোগ করে বাকি ২ উইকেট হারায় তারা। খুলনার হয়ে ২টি উইকেটই নেন মিনহাজ রহমান। এনামুল হক জুনিয়র আউট হন ৩০ রানে। খুলনার হয়ে মাসুম খান টুটুলের পাশাপাশি মিনহাজ রহমানও ৪ উইকেট নেন।
২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ২৮ রান যোগ হতেই ২ উইকেট হারায় তারা। এরপরই দলের হাল ধরেন অমিত ও জাকির। দুইজনের প্রতিরোধে বিপর্যয় কাটিয়ে দলের স্কোর বড় হতে থাকে। অমিতের আউটে এই জুটি ভাঙে। মঈনুল হাসান সোহেলের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অমিত। আউট হওয়ার আগে ৬৬ রান করেন তিনি। ১২৬ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি।
অমিত আউট হয়ে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন জাকির। শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে দলকে লিড এনে দিনের খেলা শেষ করেন অপরাজিত থেকে। তার নামের পাশে ১১৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১৯৩ বলে ১৪ বাউন্ডারি ছিলো তার ইনিংসে। ১৪ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক অলক কপালি। খুলনার হয়ে পেস বোলার আব্দুল হালিম ৪০ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। সমান ২টি উইকেট নেন স্পিনার মঈনুল ইসলাম সোহেলও। ১ উইকেট নেন মাসুম খান টুটুল।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি