সাবিনা-মারিয়াদের ফিটনেস নিয়ে শুরুর শঙ্কা এখন আর নেই। গত দুই মাসে কোচদের নির্দেশনা মেনে ঘরে বসেই অনুশীলন সেরেছেন তারা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও আশাবাদী, মোটামুটি ভালো অবস্থাতেই পাবেন মেয়েদের।
করোনাভাইরাসের থাবার গত মার্চ থেকে মেয়েদের লিগ বন্ধ। ছেলেদের ফুটবলের সব টুর্নামেন্ট বাতিল করে দিলেও মেয়েদের লিগের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
শুরুর দিকে মেয়েদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তবে এখন বাড়ির বাইরে উঠানে, রাস্তায় কিংবা মাঠে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুশীলন করতে পারছেন আঁখি-মৌসুমীরা।
লিগ ও বাফুফের ক্যাম্প স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই মেয়েদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ রাখছেন রব্বানী ও তার সহকারীরা। খাদ্যভাস থেকে শুরু করে ফিটনেস ধরে রাখা- সব ব্যাপারে দিয়েছিলেন বাড়তি মনোযোগ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রব্বানী জানালেন, মেয়েদের ফিটনেস দেখে মোটামুটি সন্তুষ্ট তিনি।
“মেয়েরা গ্রামের বাড়িতে গেলে খাওয়া-দাওয়ার দিকে তেমন নজর দিতে চায় না। ইচ্ছেমতো খাওয়া-দাওয়া করে। এটা বড় একটা সমস্যা। আমরা শুরু থেকে এ দিকটায় নজর দিয়েছিলাম। নিয়ম অনুযায়ী তারা খাচ্ছে কিনা, নিয়মিত সে খবর রেখেছি।”
“টেস্ট না করে আসলে তাদের ফিটনেস কোন অবস্থায় আছে, তা পরিমাপ করা কঠিন। কিন্তু দূর থেকে দেখে যতটুকু মনে হচ্ছে, মোটামুটি ভালো অবস্থাতেই আছে।”
গত দুই মাস বাফুফেও মেয়েদের বাড়ির বাইরের উঠানে, মাঠে, রাস্তার কিংবা জিমে অনুশীলনের ভিডিও দিয়েছে। রব্বানী জানালেন অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ায় সবাই ভালো অবস্থায় আছে।
“শুরুতে তো মেয়েদের বাড়ির বাইরে যাওয়ারই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এখন উঠানে, মাঠে, রাস্তায় অনুশীলনের জন্য বলা হয়েছে। ভাসক্যুলার ট্রেনিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং, পেশির অনুশীলন এগুলোতেই গুরুত্ব দিয়েছি। ওদের ফিজিক্যাল শেপ ভালো অবস্থায় আছে।”
“এখন অনেক জেলায় জিমনেশিয়াম আছে। মেয়েদের কেউ কেউ তাদের জেলার জিমনেশিয়ামে স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে অনুশীলন করছে। ফলে শুরুতে তাদের ফিটনেস নিয়ে যে পরিমাণ শঙ্কা ছিল, বলা যায়, এখন অতটা নাই। মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে।”
আগামী বছর এএফসির দুটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের বাছাই আয়োজন করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। রব্বানীও জানালেন দুটি টুর্নামেন্ট নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা।
“মেয়েদের খেলা নিয়ে সবসময়ই প্রত্যাশা বেশি থাকে। নিজেদের মাঠে টুর্নামেন্ট দুটি বাছাইয়েও তা থাকবে। যদিও জানি না, কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে পারব। কিন্তু মেয়েদের এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট দুটির বিষয়ে জানিয়েছি প্রত্যাশার কথা। বলেছি, এগুলো মাথায় রেখেই কাজ চালিয়ে যেতে।”
খুলনা গেজেট/এএমআর