বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, আমি যদি ক্রিকেটে থাকি আর বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই হতে চাইব এবং আমি জানি বিসিবির ইতিহাসের সেরা হতে পারব। এটা আমি খুব ভালোভাবে বিশ্বাস করি।
শনিবার (২০ মার্চ) রাতে লাইভে এসে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেছেন, আমার কাছে মনে হয় কখনও বিসিবি সভাপতি হতে পারি। আর আমি বিসিবি সভাপতি হলে যত ভালো কাজ করতে পারব তা আর কেউ পারবে না।
ওই লাইভেই সাকিব আক্ষেপ করে বলেছেন, নির্মম সত্যটা হচ্ছে- যখন আমাদের দেশে বাইরের কেউ খেলতে আসে আমরা তাদের স্যার-হুজুর করতে থাকি দুই-একজন ছাড়া। যারা অল্প কয়েকটা ম্যাচ খেলছে বা খেলেওনি তাদের সাথে এমন করি। আমাদের দেশে যারা ৫-৭ বছর খেলছে তাদের রেসপেক্ট করি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানুষই যদি আমাদের রেসপেক্ট না করে, বোর্ড রেসপেক্ট না করে, ক্রিকেটাররা রেসপেক্ট না করে- সেখানে অন্য দেশের মানুষ কীভাবে করবে?
এদিকে ‘দারাজ ক্রিকফ্রেঞ্জি’র লাইভে শ্রীলঙ্কা সফর ছেড়ে আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বললেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিব টেস্ট খেলতে চাইবেন না কেন? দেশের প্রতি তার দায়িত্ববোধের ঘাটতি আছে, এমন কথাও বলেছেন অনেকে। তবে এবার সাকিব সাফ জানিয়ে দিলেন, টেস্ট খেলতে চান না এমন কথা সত্য নয়।
সাকিব বলেন, ‘যারা সমালোচনা করেছে তারা চিঠিটা পড়েনি। আমি বিসিবিকে যে চিঠি দিয়েছি, কোথাও বলিনি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি লিখেছি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য খেলতে চাই না।’
বিসিবিও যে তার আইপিএলে খেলতে যাওয়ার বিয়ষটিকে সমর্থন দিয়েছে তার জন্য নাজমুল হাসান পাপনকে ধন্যবাদ জানালেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘পাপন ভাইকে ধন্যবাদ, উনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খেলোয়াড়দের এই স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। বারবার যে মানুষ বলছে যে, টেস্ট খেলতে চাই না, এটা সঠিক নয়। আমি বলেছি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য এই সময়ে আমি আইপিএল খেলতে চাই, ওয়ানডে থাকলেও খেলতাম। এটা দলকেও সহায়তা করবে, আমি তাদের কাছে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারবো।’
শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেললেই যে দলের বিরাট উপকার হয়ে যেতো, এমনটাও মানছেন না সাকিব। তার কথা, ‘দেখুন আসলে প্রথমত, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যদি সময় মতো খেলতাম তাহলে এই প্রশ্ন আসতো না। মহামারির জন্য উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ এটা। আমরা বোধ হয় পয়েন্ট টেবিলে সবার শেষে আছি। এমন না যে এই দুই ম্যাচ খেললে তেমন কিছু যেতো আসতো।’