রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ব্যাট হাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জ্বলে উঠলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দলকে জয়ে ফেরালেন তিনি। গড়লেন একটি রেকর্ডও। সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড করে দলকে জয় এনে দিয়েছন তিনি। ম্যাচে সাত উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে সমতায় নিয়ে এসেছে তারা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। শুরুতেই জস বাটলারের উইকেট হারালেও ডেভিড মালান (২৪) এবং জেসন রয় (৪৬) দলের হাল ধরেন। এরপর বেয়ারস্টো (২০), মর্গান (২৮), বেন স্টোকসরা (২৪) ভালো শুরু করেও ভারতীয় বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়ে বড় রান করতে পারেননি। তাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ১৬৪ রানেই।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্যরানে ফিরে গিয়েছিলেন কেএল রাহুল। তবে বিরাট-কিষাণ জুটি দলের ওপর কোনো চাপই পড়েতে দেননি। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রান যোগ করলেন। মাত্র ৩২ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ঈশান যখন আউট হন, ম্যাচ তখন অনেকটাই ভারতের দখলে। এরপর ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন ঋষভ। যদিও তিনিও আউট হয়ে যান। শেষপর্যন্ত কোহলি-শ্রেয়স জুটি ভারতকে প্রয়োজনীয় লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন। কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে। ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ১২ হাজার রান পূর্ণ করার রেকর্ডও গড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পিছনে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথকে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩০০০ রান করার অনন্য রেকর্ডও গড়লেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৬৪/৬ (রয় ৪৬, মালান ২৪, বেয়ারস্টো ২০, মর্গ্যান ২৮, স্টোকস ২৪, স্যাম ৬*; ভুবনেশ্বর ৪-০-২৮-১, সুন্দর ৪-০-২৯-২, শার্দুল ৪-০-২৯-২, পান্ডিয়া ৪-০-৩৩-০, চেহেল ৪-০-৩৪-১)।
ভারত : ১৭.৫ ওভারে ১৬৬/৩ (রাহুল ০, কিষান ৫৬, কোহলি ৭৩*, পান্ত ২৬, শ্রেয়াস ৮*; স্যাম ৪-১-২২-১, আর্চার ৪-০-২৪-০, জর্ডান ২.৫-০-৩৮-১, টম ২-০-২৬-০, স্টোকস ১-০-১৭-০, রশিদ ৪-০-৩৮-১)।
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী।
খুলনা গেজেট/কেএম