করোনাভাইরাসের জেরে শোবিজ দুনিয়া প্রায় স্থবির। সিনেমা হল বন্ধ, লাইভ কনসার্টে খরা, নাটকের শুটিংয়ে নানা সংকট।করোনাকালে কোনো উৎসবই আগের মতো নেই। করোনার কারণে ঈদের রং কিছুটা ফিকে হলেও উদযাপন তো আর থেমে থাকবে না। জনপ্রিয় তারকারা জানালেন তাদের ঈদ পরিকল্পনার কথা।
ফেরদৌস : ঘরেই ঈদের নামাজ পড়বো। পরিবারকে সময় দেব। এবার ঢাকার বাসায় গরু কোরবানি দিচ্ছি না। আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা আর স্ত্রীর বাড়ি যশোরে গরু কোরবানি দিচ্ছি। কারণ, গরু কোরবানি ও মাংস বিলানোর কাজে একটা লোক সমাগমের বিষয় থাকে, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে মারাত্মক। আমি সবাইকে বলতে চাই, যে যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে ঈদ করুন।
পূর্ণিমা : এবার ঈদকে ঘিরে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশের যে অবস্থা, তাতে এখন উদযাপনটা খুব বড় কিছু নয়। এই পরিস্থিতিতে নিজের বাড়ির গ্যারেজে গরু কোরবানি করার যে রেওয়াজ ছিল, সেটিও এবার বন্ধ করেছি এবার। আমার অন্য আত্মীয়-স্বজনরা গরু কোরবানি দিচ্ছে, তাদেরকে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। তারাই সবকিছু করে মাংস অসহায় মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেবে। তবে আমার মেয়েকে ঈদের আমেজটা দিতে চাই। ঈদের আগের রাতে মেহেদি পরিয়ে দেব। আর মেয়ের পছন্দের খাবার রান্না করব।
মোশাররফ করিম : বাবা তো বেঁচে নেই, মা আমার সঙ্গেই থাকেন। তাই ঢাকাতেই গরু কোরবানি দিচ্ছি। কোরবানির ঈদে গরু ছাড়া আর তেমন কিছু কেনাকাটা করা হয় না। তাছাড়া এখন শপিং মলে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। আমি ঈদের দিন ঘরেই থাকবো। একটা আরামদায়ক সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি পরবো।
হাবিব ওয়াহিদ : এবার একেবারেই সাদামাটা ঈদ যাবে আমার। নামাজ পড়তে যেতে পারবো না। কারণ অনেক লোকের ভিড়ে গিয়ে বাবা-মাকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। ঘরে পরিবারের সঙ্গেই ঈদ কাটবে ঢাকায়। একটি রেডিও স্টেশনে লাইভ পারফরম্যান্সের কথাও রয়েছে।
সাবিলা নূর : করোনার আগেই আমার বাবা-মা বড় বোনের কাছে আমেরিকায় গেছেন। আমি শ্বশুরবাড়িতেই আছি। রোজার ঈদের মতো এবারো শ্বশুরবাড়িতে কাটবে। ঈদের দিন শ্বাশুড়ির জন্য বিশেষ পদ রান্না করার ইচ্ছে আছে। ঈদে একটি নতুন কামিজ পরব। ঘরে থাকবো, নিজের জন্য হলেও সাজগোজ করবো। ঈদের ক’দিন নিজের ও অন্য সহশিল্পীর নাটক দেখবো।
সিয়াম আহমেদ : প্রতিবার ঢাকা ও গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে গরু কোরবানি দিয়ে থাকি। এবার ঢাকায় কোরবানি দিচ্ছি না। শুধু গ্রামের বাড়িতে কোরবানি দিচ্ছি। বাসায় লোকজনও কম। তার মধ্যে বাবা-মায়ের বয়স হয়েছে। তাই বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হয়। এবার ঈদে কোনো রকম অনুষ্ঠান বা আয়োজনে যুক্ত হচ্ছি না। তেমন কোনো কেনাকাটাও করিনি।
নুসরাত ফারিয়া : লকডাউনের পর থেকেই আমি ঢাকা ছেড়ে ময়মনসিংহের পারিবারিক ফার্ম হাউজে ছিলাম। কিছু কাজের জন্য ঢাকায় এসেছি। এবারের ঈদও কাটবে ফার্ম হাউজেই। পরিবারের সঙ্গে গল্প, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া এভাবেই দিন চলে যাবে। নতুন কোনো পোশাকও কিনিনি। সংগ্রহে থাকা কাপড় থেকে ঈদে সুতি শাড়ি পরব। সঙ্গে হালকা গহনা। ইচ্ছে আছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গেও সময় কাটানোর।
কনা : ঈদে গাজীপুরে যাব। প্রতিবার কোরবানির ঈদ আমার গ্রামের বাড়িতেই কাটে। এটা আমাদের পারিবারিক একটা রেওয়াজ। তাই ঈদে ঢাকায় কোনো অনুষ্ঠান রাখিনি। এবার ঈদের জন্য তেমন কেনাকাটা হয়নি। আগেই কেনা কয়েকটি নতুন পোশাক রয়েছে। সেখান থেকে আরামদায়ক একটা পোশাক বেছে নেব। দর্শকের জন্য অনলাইনে একাধিক আয়োজনে অংশ নেব।
ন্যান্সি : পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটবে ময়মনসিংহে। তারপরও ঈদের দিন রাতে এনটিভিতে লাইভ অনুষ্ঠানে গাইবো। এছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন গাইবো এশিয়ান টিভিতে। এছাড়া বাকি সময়টা পরিবারের সঙ্গেই কাটাবো।
ইরফান সাজ্জাদ : প্রতি ঈদেই আমি নিজ শহর চট্টগ্রামে যাই। সেখানে বাবা-মা থাকেন। তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারা বিরাট পাওয়া আমার কাছে। যেহেতু সপরিবারে চট্টগ্রামে থাকবো তাই সেখানেই গরু কোরবানি দেয়া হবে। কোরবানির ঈদে নতুন পোশাক সেভাবে কেনা হয় না। নিজের কালেকশনে যা আছে সেখান থেকেই একটা পাঞ্জাবি বেছে নেব।
খুলনা গেজেট/এএমআর