বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসুন ৫০ বছর পরে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন করে স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করি।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা জানেন এই সরকার সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা জানে না ইচ্ছা করলে এ খেতাব বাতিল করা সম্ভব না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য তিন বার কারাভোগ করেছেন। তাছাড়া এই সরকারের আমলে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে। পিন্টুর মতো অনেকে কারাগারে মৃত্যুবরণও করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশে কোনো সংবিধান নাই। ভোটের অধিকার নাই, ভোটারবিহীন নির্বাচন চলে। ভোটডাকাতি করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের আমলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে চাই। প্রতিটা মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করতে চাই। দেশের প্রতিটি মানুষকে আমরা মূল্যায়ন করতে চাই। আসুন, ৫০ বছর পরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন করে স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করি।
এর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির নেওয়া বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
শুরুতে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ওলামা দলের সভাপতি কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এরপর মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের সম্মানে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এরপরই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থের মোড়কও উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি, আতাউল গণি ওসমানীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বীর সেনানিদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ডা. জেড জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, আহমেদ আযম খান, ভিপি জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন, ২০ দলীয় জোটের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, খন্দকার লুৎফর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সৈয়দ এহসানুল হুদা, শাহাদাত হোসেন সেলিম, আহমেদ আবদুল কাইউম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই