সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুমোদন ছিল বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রকাশিত গোয়েন্দা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা মনে করছি যে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গিয়ে জামাল খাশোগজিকে ধরতে বা খুন করতে যে অভিযান পরিচালিত হয়, সেটিতে অনুমোদন ছিল যুবরাজ সালমানের।’
গোয়েন্দা সংস্থাটি বলছে, দেশের বাইরে থাকা বিরোধীদের দমনে সহিংস পদ্ধতি ব্যবহারে সালমানের সমর্থন ও হত্যাকাণ্ডে তার একজন শীর্ষ উপদেষ্টার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থেকে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে সৌদি প্রশাসনের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পুরোপুরিভাবে সালমানের নিয়ন্ত্রণে। এ কারণে তার অনুমোদন ছাড়া সৌদি কর্মকর্তাদের পক্ষে এ ধরনের একটি অভিযান পরিচালনা অসম্ভব ছিল।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি এজেন্টদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদি সরকারের নীতির কড়া সমালোচক খাশোগজি। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি নিতে ওই কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদকে ফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে ফোনালাপ হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বাইডেনের পূর্বসূরি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলে সৌদি সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন। বিশেষ করে যুবরাজ এমবিএসের সঙ্গে দহরম-মহরম ছিল তার।
খাশোগজি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে আইনি বাধ্যবাধকতা প্রত্যাখ্যান করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বরং সৌদি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নেই তাদের ঝোঁক ছিল বেশি। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পাল্টে যায় সব।