ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে করোনার টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় বাড়ছে। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ক্রমেই টিকা নিতে আসছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। গত ১৭ দিনে উপজেলায় কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। আর টিকা নেওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। প্রথমে টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম থাকলেও ধীরে ধীরে এই টিকা নিতে ভয় কাঁটছে সবার। টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নানান উদ্যোগে ইতোমধ্যে টিকা নিতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টিকাদানের সেবা সহজীকরণ করতে টিকাদান কেন্দ্রেই ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করা হচ্ছে। টিকা নিতে আগ্রহীরা জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন বুথে ছুঁটছেন। সেখানে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে এই টিকার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে তাদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন কার্ড। আর নানা বয়সের প্রচুর সংখ্যক নারী ও পুরুষ নিচ্ছেন করোনার টিকা।
কোভিড-১৯ এর টিকাদানের জন্য রেজিষ্ট্রেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী রাজু আহাম্মেদ জানান, টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে দিনে ৫০-১০০ জন মানুষ টিকা নিতে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আসতেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নানা উদ্যোগে গত এক সপ্তাহে দিনে অন্তত ৩০০-৪০০ মানুষ টিকার রেজিষ্ট্রেশন করছেন ও টিকা গ্রহণ করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ জামিনুর রশিদ জানান, গত ৭ ফেব্রয়ারি সারাদেশের ন্যায় এই উপজেলাতেও শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচি। প্রথমে টিকা নিতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। সমাজের নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে টিকা নিতে আগ্রহ বাড়াতে প্রথমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষকসহ পেশাজীবিসহ সচেতন মানুষ টিকা গ্রহণ করেন। আর টিকাদানে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চালানো হয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারণা।
উপজেলার সর্বত্রই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী দিনভর চালানো হচ্ছে মাইকিংয়ের প্রচারণা। এছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমেও গ্রামে গ্রামে মানুষকে টিকা নিতে সচেতন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই উপজেলায় আড়াই হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। আর রেজিষ্ট্রেশন করেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। টিকা নিতে সাধারণ মানুষকে টিকাদান কেন্দ্রে আসতেও আহবান জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম