ঢাকা মেট্টো রেলের জন্য জাপানে নির্মিত বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছাবে মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ। জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছয়টি বগি নিয়ে মেট্টো রেলের প্রথম চালানের জাহাজ মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে আজ। সেদেশ থেকে রেলের বগি নিয়ে আরও তিনটি চালান এবছরের মধ্যে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান গত বুধবার মেট্টো রেলের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর থেকে মেট্টো রেল চালু হবে। কোভিড-১৯’র কারণে মেট্টো রেলের কাজে কিছুটা স্থবিরতা আসে। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের কাজের ৫১ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্র্যানজিট কোম্পানি লিঃ এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কি: মি: দৈর্ঘ্যরে এই প্রথম রেল লাইন দেশে। এ লাইন নির্মাণের উদ্দেশ্য রাজধানীর ওপর যানজটের চাপ কমানো। প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এম এ এন সিদ্দিক জানান, আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে উত্তরা ডিপোতে প্রাথমিকভাবে মেট্টো রেল চলাচল করবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারপরে মূল লাইনে চলাচল করবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফকরুদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, জাপান থেকে পণ্য বোঝাই জাহাজ সিঙ্গাপুর অথবা মালয়েশিয়ায় এসে কন্টেইনার পরিবর্তন করে। সেখান থেকে মোংলা বন্দরে আসতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগে। তিনি বলেন, সে হিসেব অনুযায়ী মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ মেট্টো রেলের বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছাবে। মোংলা বন্দর থেকে নৌ-যানে করে উত্তরার পাশের নদীতে আনা হবে। তারপরে লরিতে করে ডিপোতে পৌঁছানো হবে। ঢাকা মেট্টো রেলের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি সেটে বগির সংখ্যা ৬টি করে।
এ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জানান, মেট্টো রেলের বগির ২য় চালান ১৫ এপ্রিল, ৩য় চালান ৩০ জুন এবং ৪র্থ চালান ডিসেম্বরের শেষদিকে জাপান থেকে রওনা হবে। সব বগিগুলি জাহাজের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম