খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ধুমপান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর বিধায় খুলনাকে তামাক মুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী চল্লিশ সালের মধ্যে দেশকে মাদক ও তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্মিলিতভাবে তাঁর এই মহতী কর্মপ্রচেষ্টা সফল করতে হবে। সিটি মেয়র জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দূরদর্শী রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। যে পদ্মা সেতু আমাদের কাছে এতদিন ছিল স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের কারণেই আজ তা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় নগরভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত তামাক বিক্রেতাদের জন্য লাইসেন্স প্রণয়নে অগ্রগতি বিষয়ক সভায় সিটি মেয়র এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সিটি মেয়র ও কেসিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে তামাক বিরোধী জোট এইড ফাউন্ডেশন ও সিয়াম যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় উল্লেখ করা হয়, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্তদের নির্ধারিত কোন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণের সুযোগ না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের আশাপাশে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খাবারের দোকান, রেষ্ট্রুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়। ফলে সহজলভ্যতা ও সহজপ্রাপ্যতার কারণে বাড়ছে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী/কোম্পানী ও বিক্রেতাদের নির্দিষ্ট ট্রেড লাইসেন্স-এর আওতায় এনে তামাকাজাত দ্রব্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ১’শ গজের মধ্যে তামাক জাত দ্রব্য বিক্রয়, বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে কেসিসি’র কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়।
কেসিসি’র মেয়র প্যানেল সদস্য মোঃ আলী আকবর টিপু, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) পলাশ কান্তি বালা, সচিব মোঃ আজমুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যান বোর্ডের ডেপুটি ডাইরেক্টর মোঃ বেল্লাল হোসেন, কেসিসি’র চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এস কে এম তাছাদুজ্জামান, সিয়াম এর পরিচালক এ্যাড. মাসুম বিল্লাহ, সেভ দি ফিউচার ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মোঃ সাজ্জাত হোসেন, ধুসর বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক এস এন জি নেওয়াজসহ কেসিসি’র লাইসেন্স (বাণিজ্য) শাখার কর্মকর্তাগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই