খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, কাল আরাফা দিবস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হজযাত্রীদের পদচারণায় মুখোরিত এখন মিনার মাঠ। আজ বুধবার সারা দিন তাঁরা সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। কাল বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে তারা মিনা থেকে যাবেন আরাফাতের ময়দানে। এ সময় হজ পালনকারীদের ইসলাম নির্দেশিত বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এদিন অর্থাৎ ৯ জিলহজ্জ পালিত হবে পবিত্র হজ।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে হাজারো কণ্ঠে ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনির মাধ্যমে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দীর্ঘ ৯০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সৌদি আরবের বাইরের কোনো দেশ থেকে হজে অংশগ্রহণ করতে পারছে না কেউ। তবে সৌদিতে অবস্থানরত হাতেগোনা কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি এই বিরল সুযোগ পেয়েছেন। বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

শরীয়ত মোতাবেক-হজের অংশ হিসেবে বুধবার পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান করবেন মিনায়। সেখানে হাজিরা সারা জীবনের পুঞ্জীভূত গুনাহ মাফ ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় জিকির-আজকার ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। নিজ নিজ তাঁবুতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন জামাতের সঙ্গে। প্রতিটি তাঁবুতে এবার দুই থেকে চারজন হজযাত্রীর একত্রে থাকার সুবিধা রয়েছে, যাতে কোভিড-১৯ বিধানের আওতায় সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরই মধ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও এবারের সীমিত আকারের ব্যতিক্রমী হজের সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। সেটা অনুসরণ করেই মক্কা মদিনা, মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সুব্যবস্থা।

এদিকে জমজমের পানি বোতলে করে সরবরাহ করা হবে হাজিদের। তবে করোনার কারণে ছোঁয়া যাবে না কাবাঘর, কালো পাথরে চুমু খাওয়াও এবার নিষিদ্ধ। নামাজ পড়ার জন্য আনতে হবে নিজস্ব জায়নামাজ।

হজযাত্রীরা আল্লাহর প্রেমে উন্মাদের মতো ছুটেন আরাফাতের মাঠে। তাঁদের সঙ্গে থাকে শুধু একটি ব্যাগ-যাতে রাখা হয় কিছু অতীব জরুরি কিছু জিনিসপত্র। যেমন থালা-বাসন, পানির মগ, ওষুধ ও ওজু-গোসলের জন্য গামছা জাতীয় কাপড়। মূলত আরাফাতের ময়দানে ৯ জিলহজ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করাই হজের মূল কাজ। সহিহ হাদিছে রয়েছে- যিনি ৯ জিলহজ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অকুফে আরাফায় অবস্থান করবেন- তিনিই হাজি হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। আর হজে মকবুল বা কবুল হজের ফজিলত হচ্ছে-নিশ্চিত জান্নাত লাভ।

এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দিবেন শায়খ আবদুল্লাহ বিন সুলাইমান আল মানিয়া। চলতি বছর হজের খুতবার জন্য তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৮৯ বছর বয়সী শায়খ আবদুল্লাহ বিন সুলাইমান আল মানিয়া আইনজ্ঞ হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ। তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসির ইসলামিক ফিকহ একাডেমির সদস্য। এর আগে তিনি মক্কা আল মোকাররামা কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা শুরু হয়। হজের খতিব মসজিদে নামিরা থেকে যে খুতবা প্রদান করেন মনোযোগ দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। খুতবা শেষে জোহরের আজান হয়। একই আজানে দুই ইকামতে জোহর ও আসরের কসর দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়।

আরাফার ময়দানে উপস্থিত সফেদ-শুভ্র কাপড়ের ইহরাম পরিহিত হাজীদের সামনে দেয়া হজের খুতবা বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ খুতবা যেমন সমবেত হাজীরা শোনেন, তেমনি শোনেন বিশ্ববাসী। আরাফাতের ময়দানের এ খুতবা এবার বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনূদিত হবে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে শুধু সৌদি আরবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের অধিবাসী ও দেশটির নাগরিকদের সমন্বয়ে দশ হাজার মানুষ এবার হজ পালন করছেন।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!