তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের বলা যায়। এই সেশনে তিন ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়েছেন স্বাগতিক দলের তিন স্পিনার। তবে এই সেশনে তিন উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৩ ওভাবে ১১৪ রান সংগ্রহ করেছে তারা। তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৯। প্রথম সেশন শেষে জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৩৪ রানে জসুয়া ডি সিলভা ১২ রানে লাঞ্চে গেছেন।
সকালে এনক্রুমা বনারকে দিনের প্রথম বলেই স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচে পরিনত করেন তাইজুল ইসলাম। ব্র্যাথওয়েন্টকে বোল্ড করেন নাঈম হাসান। ৭৬ রান করেন এই ক্যারিবীয় অধিনায়ক। কাইল মায়ার্সকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ।
স্পিনাররা ম্যাচের দ্বিতীয় দিন উইকেট থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি। দুয়েকটা বল বাঁক নিলেও উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ সহায়ক ছিল। তাই লিড নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
তবে তার আশায় দিনের প্রথম বলেই ব্যাঘাত ঘটালেন তাইজুল ইসলাম। ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করা এনক্রুমা বনারকে প্রথম বলেই স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচে পরিনত করলেন এই স্পিনার। দ্বিতীয় বলে কাইল মায়ার্সের উইকেটটিও পেতে পারতেন তাইজুল। তাইজুলের আরেকটি ইনসুইঙ্গার বলকে ডিফেন্স করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটরক্ষক এবং প্রথম স্লিপের মাঝে। মুশফিকের গায়ে লাগার কারণে বলটি আর ধরতে পারেননি প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো শান্ত। ফলে টানা দ্বিতীয় বলের উইকেট থেকে বেঁচে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপরই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে ব্র্যাথওয়েট ও মায়ার্স জুটি। মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১১ ওভারে ৫৫ রান সংগ্রহ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। দলীয় ১৩০ রানে ৭৬ করা ব্র্যাথওয়েটকে বোল্ড করে দিনের দ্বিতীয় সফলতা এনেদেন নাঈম হাসান।
কাইল মায়ার্সকে এলবি করে পঞ্চম উইকেট জুটিটা খুব একটা বড় হতে দেননি মেহেদি মিরাজ। ৬৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন অভিষিক্ত এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান।
এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৭৫ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
খুলনা গেজেট/এনএম