দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ‘অপরিহার্য’ ছিল বলে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাং দাবি করেছেন। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ কথা বললেন তিনি।
দেশটির সেনাবাহিনীর ফেসবুক পাতায় সেনাপ্রধানের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘বহুবার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সে কারণেই আমরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলাম’।
গত বছর নভেম্বরের মিয়ানমারে কথিত নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে সু চির সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে একটা টানাপোড়েন চলছিল। ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংসদের অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। সোমবার মিয়ানমারে হঠাৎ দেশের ক্ষমতা দখলে নেয় সেনা। অং সান সু চি এবং এনএলডির বহু নেতাকে আটক করে তারা।
প্রায় ১৫ বছর বন্দিদশা কাটিয়ে ২০১৫ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দেশের নেত্রী নির্বাচিত হন সু চি। কিন্তু দেশের পশ্চিমে রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উচ্ছেদ এবং গণহত্যার অভিযোগে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মহলে সু চির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তবে দেশীয় রাজনীতিতে আগের মতোই জনপ্রিয়তা ছিল তার।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে সংবিধান এবং আইন রক্ষার দায়িত্ব তাদের হাতেই বলে শনিবার ঘোষণা করে সে দেশের সেনাবাহিনী। তার পর থেকেই অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। পরে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম