যেখানে বার্সেলোনার ঋণ ১ বিলিয়ন ইউরো, সেখানে লিওনেল মেসি একাই বেতন পান বছরে ১৩৮ মিলিয়ন। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের বছরের বেতন দিয়ে মোটামুটি মানের একটা দল গড়তে পারবে যেকোনো ইউরোপিয়ান ক্লাব। অথচ মেসি নিজেই বলছেন শিরোপা জেতার মতো দল নেই তাদের। ক্লাব যখন আর্থিক দুর্দশায় ধুঁকছে, তখন মেসির আকাশছোঁয়া বেতনের কথা জেনে চলছে সমালোচনা।
মেসির এই অবিশ্বাস্য পারিশ্রমিককে অবশ্য অনর্থক বা অপচয় মানতে নারাজ বার্সার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভিক্টর ফন্ত। তার দাবি, নিজের যোগ্যতা আর পরিশ্রম দিয়ে প্রতিটি ইউরো আদায় করে নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মহাতারকা।
বার্সার সঙ্গে সবশেষ চুক্তিতে চার বছরে মেসির ৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ ইউরো পাওয়ার তথ্য ফাঁস করেছে স্প্যানিশ পত্রিকা এল মুন্ডো। বাংলাদেশি অঙ্কে যার পরিমাণ ৫ হাজার ৭০২ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৭৮২ টাকা!
২০১৭ সাল থেকে বছর প্রতি বার্সার কাছ থেকে ১৩৮ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিক পান মেসি। যার মধ্যে ১১৫ মিলিয়ন নির্দিষ্ট, আর আনুগত্যের বোনাস মিলিয়ে এরসঙ্গে যোগ হয় আরও ৭৮ মিলিয়ন। সপ্তাহ প্রতি ৩৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইনের বেতন হল ২.৬৬ মিলিয়ন ইউরো।
বার্সার আর্থিক দুরবস্থার পেছনের কারণ যে অনেকটাই মেসি, সেটাই ইঙ্গিত করার চেষ্টা করেছে এল মুন্ডো।
মেসিকে নিয়ে এমন সমালোচনা পছন্দ হচ্ছে না ফন্তের। তিনি চান বার্সার হয়েই যেন ক্যারিয়ার শেষ করেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, ‘তাকে যতগুলো ইউরো দেয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই সে অর্জন করে নিয়েছে। সে মোটেও আমাদের ডোবায়নি। উল্টো করে বললে, সে আমাদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় এবং আমরা চাই সে সারাজীবন আমাদের সঙ্গেই থাকুক।’
চলতি বছরের জুনে বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে মেসির, ফন্তের আশা নতুন করে চুক্তি সারবেন বার্সা অধিনায়ক।
খুলনা গেজেট/কেএম