খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, খুলনা শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যার প্রায় ২৬ বছর পর আবারও মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে। খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে এ বিচার শুরু হবে।
মামলার এক আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১৪ সাল থেকে আলোচিত হত্যা মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। সেখান থেকে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি গত ৩ জানুয়ারি খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আসে।
খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘আদালতের পাওয়া চিঠি অনুযায়ী উচ্চ আদালত ওই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন ২০১৮ সালের আগস্টে। আর তাতে ওই আদালতের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করেছেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে ওই চিঠি খুলনায় আসতে এত দিন লেগেছে। আদালতের কাছে চিঠি আসার সঙ্গে সঙ্গে ওই মামলার কাযক্রম চালানোর জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়েছে।’
চাঞ্চল্যকর মামলাটির বাদী, প্রধান সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুই আসামীর ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে। উচ্চ আদালতে কয়েকদফা স্থগিত আদেশের পর মামলাটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ায় বিষয়টিকে ঘিরে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে খুলনাবাসীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুরে খুলনা সদর থানার অদূরে স্যার ইকবাল রোড়ে বেসিক ব্যাংকের সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে শেখ আবুল কাশেম ও তার ড্রাইভার মিখাইল মারা যান। খুলনা থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে মামলাটি তদন্তর দায়িত্ব পড়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ওপর। তারা দীর্ঘ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালের ৫ মে ১০ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এতে আসামী করা হয়, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম (মৃত), তরিকুল হুদা টপি, আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু (নিহত), ওসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান, মিল্টন ও তারেক।
খুলনা গেজেট / টি আই