সেই কঠিন সময়। আল্লাহ ছাড়া কোনো সাহায্যকারী থাকবে না। সূর্য মাথার উপর অতি নিকটে চলে আসবে। প্রচন্ড তাপদাহে শরীর পুড়িয়ে ফেলার মত হবে। অতি উত্তাপে ঘামে কারো গিরা পানি, কারো হাটু পানি, কারো মাজা পানি হয়ে যাবে। এমন ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে যে, নারী ও পুরুষ নগ্ন হয়ে উঠলেও কেউ কারো দিকে তাকানোর ফুরসত পাবে না। মা সন্তানকে চিনবে না। পিতা পুত্র-কন্যার দিকে ফিরে তাকাবে না। আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব কেউ কারো কাজে আসবে না। সেদিন সবাই যার যার কৃতকর্ম নিয়ে ‘জান বাঁচাও, জান বাঁচাও’ অর্থাৎ ইয়া নফসি, ইয়া নফসি, বলে আর্ত চিৎকার করতে থাকবে। শুধু আমজনতা নয় নবী-রাসুলগণও।
এটা সেই হাসরের ময়দান। হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হযরত নুহ (আঃ), হযরত ইব্রাহিম (আঃ), হযরত মুসা(আঃ), হযরত ঈসা (আঃ)সহ সকল নবী ও রাসুল এবং ফেরেশতাগণ হাটু গেড়ে দু’হাত তুলে জান বাঁচাও, জান বাঁচাও বলে আর্তনাদ করতে থাকবেন। সকল বড় বড় নবী নিজের বিপদের কথা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়বেন। নবী ও রাসুলগণের এ অবস্থা দেখে বিপর্যস্ত মানুষগণ সম্পূর্ণ দিশেহরা হয়ে যাবে। তারা আশা-ভরসা হারিয়ে ফেলবে। তখন তাদের কানে ভেসে আসবে একটি আওয়াজ- ইয় উম্মতি, ইয়া উম্মতি। আওয়াজ অনুসরণ করে সবাই সেখানে উপস্থিত হলে দেখতে পাবেন, আমাদের দয়াল নবী সিজদায় পড়ে আল্লাহর দরবারে আমার উম্মতকে বাঁচাও, আমার উম্মতকে বাঁচাও বলে কাঁদছেন। যখন সকল নবী-রাসলগণ নফসি, নফসি করবেন; আমাদের প্রাণ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) সকল উম্মতের মুক্তির জন্য কাঁদবেন। শুধু সাহাবায়ে কেরাম, অলি আল্লাহ বা মুমিনদের জন্য নয় সকল ধরনের পাপি-তাপি উম্মতের মুক্তির জন্য তিনি আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবেন। পাঠক ভেবে দেখুন আমরা কোন নবীর উম্মত। তাহলে এটাই সত্য যে, নবী (সাঃ)কে পিতা-মাতা, সন্তান- সন্ততি, ভাই-বোন, আত্মীয়- স্বজন, বন্ধু- বান্ধব সবার থেকে এমনকি নিজের জীবন থেকেও বেশি ভালোবাসতে হবে, ঠিক যেভাবে সাহাবায়ে কেরামগণ ভালো বেসেছিলেন। (ফেসবুক ওয়াল থেকে)
খুলনা গেজেট/এনএম