ব্যবধান মাত্র এক মাস। ডিসেম্বরের ২০ তারিখে আলুর সংকট ছিল বন্দর নগরী খুলনায়। সে সংকট এক সপ্তাহ আগ থেকে কেটে গেছে। প্রতিদিন খুলনার কদমতলা মোকামে কমপক্ষে ৫শ’ বস্তা আলু মজুদ হচ্ছে। নীলফামারি, বগুড়া, জয়পুরহাট ও রাজশাহীর উৎপাদিত আলুর ক্রেতা নেই। গত দু’দিন ধরে উত্তরাঞ্চলের আলু ব্যবসায়ীরা খুলনা মোকামে অলস দিন কাটাচ্ছেন।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে খুলনার কদমতলা মোকামে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ বস্তা আলু আসতো। একলাফে দাম বেড়ে ২৫ থেকে ৫০ টাকায় দাড়ায়। সরকার আলুর বাজারে কড়াকড়ি করে। ভ্রাম্যমান আদালতও বসায়। কয়েকজনের জরিমানাও হয়েছে। সেই আলু বুধবার স্থানীয় মোকামে প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বগুড়ার পল্লীমঙ্গল গ্রামের আব্দুস সাত্তার পরামানিক, জহুরুল ইসলাম দুই রাত একদিন পর ট্রাক বোঝাই আলু নিয়ে খুলনায় পৌছেছে। ট্রাকের ভাড়া ২৫ হাজার ৯০০ টাকা। বগুড়ার স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি করছে। ফলে ভাড়ার টাকা গুনতে ব্যবসায়ীদের কষ্ট হচ্ছে। ২৫ বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন করেছেন নীলফামারী জেলার পুটিমারী গ্রামের জিকারুল হক। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে লাভের মুখ দেখলেও এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। নীলফামারীর মকসুদুর রহমান জানান, ৪ বিঘা জমিতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তার মধ্যে ২৫ শতাংশও উঠছে না। তিনি মহাজনের কাছে ঋণী হয়ে পড়েছেন।
উত্তরের উৎপাদিত আলুর মন্দাভাব দেখে যশোরের গদখালী থেকে উৎপাদিত আলু খুলনার মোকাম আসছে না। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার সকালে মাইকিং করে একশ টাকা দাড়ি (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম