যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন প্রথম দিনেই ১৭টি সাম্প্রতিক ও আলোচিত বিষয়ে কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তরাধিকার ভেঙে দেওয়ার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ট্রাম্পের অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ণগত সাম্যতা এবং করোনভাইরাস মহামারি পরিচালনার বিষয়ে এক বিপরীত কার্যনির্বাহী পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম দিনেই এক ডজন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত জো বাইডেন। এর মধ্যে আছে গৃহায়ণবিষয়ক নীতি, শিক্ষার্থীদের ঋণ, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসনবিষয়ক ইস্যু ও মুসলিমদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো।
নতুন রাষ্ট্রপতি তার এজেন্ডা কার্যকর করার জন্য ক্যাপিটাল অফিসের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘন্টা পর উক্ত আদেশগুলিতে স্বাক্ষর করেছেন। একটি কলমের আঘাতের সাথেই বাইডেন ট্রাম্পের ইউএস-মেক্সিকো সীমানা প্রাচীরের উপরের নির্মাণ বন্ধ করে কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটাতে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগদান এবং কিস্টোন এক্সএল এর অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
১৭টি কার্যনির্বাহী পদক্ষেপের গত চার বছরের ফেডারেল নীতিমালাগুলিকে দ্রুতগতির সাথে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালানো হবে। প্রথম দিনে মাত্র ১৭টি সাম্প্রতিক বিষয়ে কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া অনেকগুলো সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। বাইডেন বুধবার যেসব নীতি ঘোষণা করেন তার মধ্যে রয়েছে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার যুক্ত করা। মুসলিম কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্প যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, তা বাতিল করা। শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা খাতে যে ফেডারেল ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তার কিস্তি জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো এবং আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে
উচ্ছেদ ও নিলাম স্থগিত রাখা। এ ছাড়া আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের সময় মাস্ক বাধ্যতামূলক করা এবং ফেডারেল প্রপার্টিতে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। এসব পদক্ষেপের বিষয়ে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
বাইডেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অভিবাসনবিষয়ক একটি প্রস্তাব অবমুক্ত করেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীর নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ তৈরি হলো। প্রথম দিনেই মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন বাইডেন। এসব ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতি উল্টে দেওয়ার জন্য বাইডেনের কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না।
খুলনা গেজেট/কেএম