ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯ অবৈধ ইটভাটা। এছাড়া আরও চার ইটভাটা মালিককে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ছাড়পত্র না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের এনফোর্সমেন্ট টীম বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়। একই সাথে আরও চার ইটভাটা মালিককে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রোজিনা আক্তার ও উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গুড়িয়ে দেওয়া ওইসব অবৈধ ইটভাটা হলো, উপজেলার চাঁদপুর এলাকার নাহার, এজিবি, বিএনবি, বোয়ালিয়া গ্রামের মাঠে অবস্থিত নিউ বিআরবি, তৈলটুপি গ্রামে অবস্থিত বিশ^াস, রুমা, সোহান, জামাত ও এজেডাবলু ব্রিকস। এছাড়াও এই অভিযানে এম, এস, বি ইটভাটাকে ৫ লাখ, এটিবি ইটভাটাকে ৫ লাখ ও এনভিভি ইটভাটাকে ৮ লাখ জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন এই অভিযানের কথা নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটায় অবৈধভাবে ইট প্রস্তুতের কথা স্বীকার করেন।
যশোর অঞ্চলের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জাানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে এসব ইটভাটা মালিকরা ইট প্রস্তুত করে আসছে। অভিযানকালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে দিনভর অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে এসব অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন