সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। রোববার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালত আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মাধ্যমে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
এদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাজির করা হয় মামলার অভিযুক্ত আট আসামিকে।
সিলেট বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রাশিদা সাঈদা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চার্জগঠনের আগে দুই আসামির জামিন ও তিন আসামি ডিসচার্জ আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
বহুল আলোচিত এ গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা হচ্ছেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।
এর আগে গত মঙ্গলবার আট আসামির উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক। এরও আগে গত ৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। সেদিন বাদীপক্ষে আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করা হয়।
বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের সময় প্রদান করেন আদালত। কিন্তু ফের গত ১০ জানুয়ারি চার্জশিটের শুনানি দুদিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানান বাদীপক্ষ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জানুয়ারি শুনানি হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আবুল কাশেমের আদালতে ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করেন শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, প্রাইভেটকার নিয়ে এমসি কলেজ এলাকায় বেড়াতে গেলে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ মামলায় ছাত্রলীগ ক্যাডারসহ আটজনকে গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।